আমলাতন্ত্র নিরপেক্ষতা হারিয়েছে : ড. শামসুল হুদা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ এপ্রিল ২০২২, ০০:১৯
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. শামসুল হুদা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর তিরোধানের পর থেকেই বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র তার ঐতিহাসিক নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। দিনে দিনে এটি আরো প্রকট হয়ে আমলাতন্ত্র এখন পুরোপুরি রাজনীতিকীকরণের ঘেরাটোপে আটকা পড়েছে। ফলে আমলারা তার নিজস্ব পরিচয় ও স্বকীয়তা হারিয়ে জনগণ কিংবা সরকারকেও আর সঠিক সেবা দিতে পারছে না। আমলাতন্ত্রে অরাজকতা চলায় সরকারও তার স্ট্যান্ডার্ড হারিয়েছে। ড. হুদা গতকাল শুক্রবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের একান্ত সচিব আহমদ মাহমুদ রাজা চৌধুরীর আমলা জীবনের স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ- ‘স্মৃতির দিগন্তে’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বইটির লেখক আহমদ মাহমুদ রাজা চৌধুরী এবং পালক পাবলিশার্সের প্রকাশক ফোরকান আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক সিইসি ও প্রাক্তন পানিসম্পদ সচিব ড. শামসুল হুদা আরো বলেন, রাজনীতিকীকরণ করতে গিয়ে আমলাদের সিনিয়রিটি নষ্ট করে চেইন অব কমান্ড ধংস করা হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর মুক্তিযোদ্ধা কোটার নামে একে আরো ধংসের পথে ঠেলে দেয়া হয়। সরকারকে সুষ্ঠুভাবে চালাতে হলে আগে প্রশাসনিক সুস্থতা ও নিরপেক্ষতা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি সরকারের ড্রেজিং পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এর মাধ্যমে জাতিকে হাজার হাজার কোটি টাকার বিশাল অপচয়ের ফাঁদে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। কারণ ড্রেজিং করে কখনো বহমান নদীকে ঠিক রাখা সম্ভব নয়। অতীতেও সব ড্রেজিং ব্যর্থ হয়েছে এবং চর পড়ে সব ভরাট হয়ে গেছে। দেশের প্রাণ-নদী ও পানির প্রবাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা এবং দূষণ প্রতিরোধ না করে মেগা পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন তিনি।
প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু এ জন্য বেগম খালেদা জিয়াও সমানভাবে দায়ী। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলেও তিনি তাতে সম্মতি দেননি।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নারীকে আগে ঘরে ক্ষমতায়িত করতে না পারলে, বাইরে ক্ষমতায়িত করে কোনো লাভ নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা