ইলিশ উৎপাদন বাড়িয়ে মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার লক্ষ্য সরকারের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ মার্চ ২০২২, ০১:২৯
উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ইলিশ দেশের সব মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ইলিশ রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই আমরা।
গতকাল বুধবার সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা জানান। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাফছা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবী, ইলিশ ব্যবসায়ী, আড়তদার, ভোক্তাসহ সব শ্রেণীর জনগণের মাঝে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছরও ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, উদ্থযাপন করা হচ্ছে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ’। এ বছর দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২২-এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইলিশ মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। দেশের প্রায় ছয় লাখ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লাখ লোক ইলিশ পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজে জড়িত। ইলিশের সাথে দেশের বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ত।
ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করা, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় ২২ দিন করা, ইলিশ সম্পৃক্ত নদ-নদী, অববাহিকায় ছয়টি অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্ধারিত সময়ে অভয়াশ্রম মাছ আহরণ বন্ধ রাখা, মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে মৎস্যজীবীদের জন্য খাদ্যসহায়তা প্রদানসহ নানা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন।
চিড়িয়াখানা আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর করা হচ্ছে : দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ সংক্রান্ত কর্মশালার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণই আমাদের প্রত্যাশা। এ লক্ষ্যেই মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। যাতে আমাদের দেশের ও দেশের বাইরের মানুষ চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে এসে নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এ জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান ও অত্যন্ত অভিজ্ঞ পরামর্শক গ্রুপ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক গ্রুপের সাথে আমরা একসাথে কাজ করতে পারব।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মো: আব্দুল লতীফ। মহাপরিকল্পনার রূপরেখা এবং এ সংক্রান্ত ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন উপস্থাপন করেন সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বার্নার্ড হ্যারিসন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লিমিটেডের টিম লিডার ও আন্তর্জাতিক চিড়িয়াখানা বিশেষজ্ঞ বার্নার্ড হ্যারিসন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা