দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ মার্চ ২০২২, ০০:১৩
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ‘ব্যর্থ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণকালে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লাসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রুহুল কবির রিজভী এলিফ্যান্ট রোডের ফুটপাথে পথচারী, দোকানদার ও রিকশাওয়ালা এবং সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন। এ সময় তিনি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং সরকারের অনিয়ম লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সরকারের আমলে মানুষের দু’বেলা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকারও অধিকার নেই। সব কিছুর দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এর পেছনে রয়েছে সরকারি দলের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।
রিজভী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ক্রেতারা। মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। হু হু করে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে তিন থেকে চার গুণ। অন্য দিকে বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না করে প্রমাণ করেছেন নাগরিক সেবায় তারা ব্যর্থ। নিত্যপণ্যের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যৌক্তিক কারণ না থাকার পরও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী, যে কারণে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট আরো বেড়েছে।
তিনি বলেন, বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে। জনগণকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে দিয়ে সরকার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি দেখা দিয়েছে। গণবিরোধী এই সরকার, জনগণ খেয়ে পড়ে বাঁচল কিনা এটা তাগিদ দেয়ার কোনো কিছু মনে করে না। দেশে আজ যদি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাদের জবাবদিহিতা থাকত, তাহলে যেভাবেই হোক এটা নিয়ন্ত্রণ করত।
বিএনপির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিদিন হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে।
সিন্ডিকেট গোটা মাফিয়া চক্র সব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। ক্যাসিনো জুয়া সমস্ত সিন্ডিকেটের মালিক তারা। সরকারের যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের নামও গণমাধ্যমে এসেছে। সুতরাং এগুলো তারা বিভ্রান্ত করার জন্য বলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা যখন কথা বলেন তখন তারা হাসির পাত্র হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা