২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
আপস করে বিয়ে

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন এসপি মোক্তার হোসেন

-


ষ নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের এক নারী পরিদর্শককে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেন। গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ বলেন, পুলিশের নারী পরিদর্শককে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল মোক্তার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ভুক্তভোগী নারী ও মামলার বাদি গতকাল আদালতে হাজির ছিলেন। উভয় পক্ষ আদালতকে লিখিতভাবে জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তারা (বাদি-বিবাদি) আপস করে বিয়ে করেছেন। আসামির জামিনে আপত্তি নেই বলে জানান বাদি। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মোক্তার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কাজী আমজাদ হোসেন। বাদিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান।
সোমবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন এসপি মোক্তার হোসেন। আবেদনে আইনজীবী ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে বাদির সাথে মোক্তারের বিয়ে হয়েছে বলে জানান এবং আদালতে একটি নিকাহনামা দাখিল করেন।
গত বছরের ১২ আগস্ট ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা: কামরুন্নাহারের আদালতে এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করেন তার সহকর্মী ওই পরিদর্শক। আদালত বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করে আবেদনটি উত্তরা পূর্ব থানাকে মামলা হিসেবে (এফআইআর) গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। মামলার সময় বাগেরহাট জেলার দায়িত্বে ছিলেন মোক্তার হোসেন। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ছুটিতে যান তিনি।
মামলাটির তদন্ত শেষে গত ৩০ জানুয়ারি মোক্তার হোসেনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন। মামলায় সাক্ষী করা হয় ২০ জনকে। সোমবার ওই চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আবেদনে মোক্তার হোসেনের আইনজীবী উল্লেখ করেন, গত ১৯ ডিসেম্বর একটি আপসনামা সম্পাদনপূর্বক বাদি ও বিবাদির বিয়ে সম্পন্ন হয়। মামলার বাদি পরে মামলা চালাবেন না বলে আপসনামায় উল্লেখ করেন। আসামির বিরুদ্ধে কোথাও কোনো মামলা নেই বিধায় তিনি জামিন পেতে হকদার। আসামি তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। মানবিক বিবেচনায় আসামির জামিনের প্রার্থনা করছি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালে বাদি ও আসামি দু’জনই জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদির বাসায় তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদি চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরেন এবং ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দেন। এর দু’দিন পর ২২ ডিসেম্বর আসামি পুনরায় আগের ঘটনা ভুলবোঝাবুঝির কথা বলে বাদির বাসায় যান; কিন্তু ওই দিনও বাদিকে তিনি ধর্ষণ করেন। এ ঘটনাও কাউকে না জানাতে আসামি বাদিকে হুমকি দেন। যদি বাদি কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানান, তাহলে তার ক্ষতি করার হুমকিও দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত চুয়াডাঙ্গায় মাদক কারবারে বাধা দেয়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম সুইসাইড নোটে ঋণের কথা লিখে বিমানকর্মকর্তার আত্মহত্যা যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে আলেমদের সাথে জুলুম করার কারণে আ’লীগের এই পরিণতি হয়েছে : আব্দুল হালিম এক বছরের মধ্যে লেবাননে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরাইলের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস ঢাবিতে ‘দলীয় রাজনীতি’ বন্ধ হলে সমন্বয়করা কি কার্যক্রম চালাতে পারবে? শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

সকল