চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সমীক্ষায় ১৮ মাস সময় লাগবে
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার করপোরেশন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেয়র তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান। সাক্ষাৎকালে মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যেসব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই যুক্ত আছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নেপথ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী এ দেশটি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষভাবে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকার সহায়তায় প্রকল্পের প্রাথমিক সমীক্ষা কার্যে ৫১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সদিচ্ছার কারণে চট্টগ্রাম অচিরেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত নগরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী, সাগরবেষ্টিত একটি অনন্য নগরী। যেকোনো বিদেশী পর্যটকের সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হবে। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানিখাত পোশাক শিল্পের প্রারম্ভে অবদান রাখতে পারায় আমরা গর্ব অনুভব করি। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগকারী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের আওতায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে কেইপিজেড প্রতিষ্ঠার অনুমতিপ্রাপ্ত হয় এবং ইয়ংওয়ানের মতো পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এখানে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কেইপিজেডের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে অন্য দেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আস্থা পাবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের বিকাশ ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কোইকার সহযোগিতায় চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পে নগরীর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। এই সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে প্রায় ১৮ মাস প্রয়োজন হবে বলে তিনি মেয়রকে অবহিত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকার প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা