২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

আসামি ধরতে ব্যর্থ থানা পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করল পিবিআই

-

আসামিদের ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় মাদকের একটি মামলা থেকে দুই আসামিকে অব্যাহতির জন্য আদালতে আবেদন জানায় রাজধানীর চকবাজার থানা পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে মামলাটির পুনরায় তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারের জন্য দায়িত্ব দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। তদন্তে নেমে পলাতক দুইজনকে গ্রেফতার করে পিবিআই। গ্রেফতারের পর পিবিআই জানতে পেরেছে, তাদের একজন হত্যা মামলারও আসামি। গ্রেফতার দুইজন হলেনÑ সিরাজুল ইসলাম ওরফে মন্টু শেখ (৪০) ও মো: সালাম (৩১)।
গতকাল পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রেফতার দুইজনের মধ্যে মন্টু শেখ একটি মাদক মামলার দণ্ডিত আসামি। তার নামে একটি হত্যা মামলাও রয়েছে। গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ডিএমপির চকবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৩৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ চান মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। সে সময় দুইজন পালিয়ে যায়। পরে চান মিয়া জানান, ওই দুইজনের নাম সিরাজুল ইসলাম মন্টু ও মো: সালাম।
ওই ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা করার পর থানা পুলিশ দুই মাস ছয়দিন তদন্ত করে। কিন্তু মন্টু ও সালামের ঠিকানা না পাওয়ার কথা জানিয়ে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানিয়ে গত বছরের ১ এপ্রিল শুধু চান মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে ওই বছরের ৩ মে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করতে ও আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়।
বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রায় সাড়ে ৮ মাস তদন্ত করে গত ২৫ জানুয়ারি সালামকে গ্রেফতার করেন তারা। পরে তার দেয়া তথ্যে ৮ দিন পর মন্টুকে শ্যামপুর রেললাইন থেকে গ্রেফতার করা হয়। মন্টুর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকের মামলা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার একটি মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। রাজধানীর সবুজবাগ থানার একটি হত্যা মামলাতেও মন্টুর নাম আছে জানিয়ে পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একজন চালককে হত্যা করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি মন্টু শেখ। তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে।
এছাড়া নাটোর, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, রাজধানীর খিলগাঁও, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন থানায় মন্টুর বিরুদ্ধে মাদকের ৭টি মামলা রয়েছে। দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের হাতেও তিনি একবার ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। মন্টুর বাড়ি ফরিদপুর জেলায় আলফাডাঙ্গা থানা এলাকায়। তবে দিনাজপুরে গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি নিজের বাড়ি নড়াইলে বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। আর এখন তিনি থাকেন নারায়ণগঞ্জে। ঠিকানা না থাকায় এ দুইজনকে গ্রেফতার করতে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলামকে ৮ মাস ধরে নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতেছিল আ’লীগ : হামিদ আজাদ ভাইকে হত্যা করাতে ১৪ মাসের ষড়যন্ত্র ভান্ডালজুড়ি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক রনো ও তার পরিবার চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট জনপ্রিয় করার উদ্যোগ

সকল