ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- আদালত প্রতিবেদক
- ২৪ আগস্ট ২০২০, ২০:২৪
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে (১৫) আত্মহত্যায় প্ররোচনার দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২ শিক্ষিকার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলোÑ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণী-শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতির আবেদন করেন। ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সাথে শ্রেণী-শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতির আবেদনও মঞ্জুর করেন। অতঃপর মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বদলি হয়ে আসেন। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণী-শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।
মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২ ডিসেম্বর (২০১৮) সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের (বাবা-মা) ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরো উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে (বাবা) অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে (অরিত্রী) আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা