টেলিস্কোপ দিয়েও ২০৩০ সালে দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না : অর্থমন্ত্রী
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:৪৯
টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজেও ২০৩০ সালের পর দেশে দরিদ্র মানুষ পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবশালী ২০ দেশের তালিকায় আসবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যেসব দেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে। ওই সময় বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এমন শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হলে এক শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। এ জন্য উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে, নতুন প্রযুক্তি আনতে হবে।’ গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হার্নেসিং ব্লকচেইন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলে এসেছে। এই সময়ে রোবোটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজি ভূমিকা রাখবে। সেখানে ব্লকচেইন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে কিন্তু চাকরি চলে যাবে, আবার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। তবে মানবসম্পদ সমৃদ্ধ হবে। ‘শিল্প খাতে দ্রত উন্নতি করতে হবে, জনমিতির সুবিধা নিতে হবে। অবিশ্বাস্য গতিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ২০৩২ সালে পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ হবে চীন, দুই নম্বর হবে আমেরিকা, তিন নম্বর হবে ইন্ডিয়া, চার নম্বর হবে জাপান এবং পাঁচ নম্বর হবে জার্মানি। চীন, ভারত ও জাপানÑ এই তিনটি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশী বিনিয়োগ এবং আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। সুতরাং কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশকে এড়িয়ে বিশ্বের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিতে বাংলাদেশের এখন বিশ্বের রোল মডেল। সম্প্রতি এডিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো। প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে ২০ লাখ তরুণ যুক্ত হচ্ছে। জনমিতির সুবিধা নিতে পারলে উন্নতি আরো বেগবান হবে।’ এ ছাড়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাংলাদেশকে মডেল বলেও মনে করেন তিনি।
বৈশ্বিকভাবে ব্লকচেইন বেশ কার্যকর প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এটি কার্যকর করলে সব ক্ষেত্রেই কার্যকর সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং পরিচালন খরচ কমিয়ে আনতে পারবে। এ প্রযুক্তি আর্থিক খাত, পুঁজিবাজার, স্বাস্থ্য ও সেবা খাতে বেশি সুবিধা দেবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একবার লেনদেন করলে কেউ সেটি ফেলতে পারবে না। ফলে কারসাজির সুযোগ থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, ‘ব্লকচেইন টেকনোলজির বাস্তবায়ন হলে এটি আর্থিক খাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ক্রস বাউন্ডারি লেনদেনের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর হতে পারে।’ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফরিদা নাসরিনসহ অনেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা