শ্রম অধিকার ঝুঁকি কমাতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:২৬
মানবিক ও শ্রম অধিকার ঝুঁকি কমাতে সরকার, ব্যবসায়ী, সুশীলসমাজের প্রতিনিধিসহ সব পক্ষকে একসাথে কাজ করা প্রয়োজন। আর এ জন্য দরকার নৈতিক নিযোগ ও সঠিক কর্মসংস্থানের উন্নতি।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘সরবরাহ প্রক্রিয়ায় শ্রমের নৈতিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সরকার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সুশীলসমাজ ও উন্নয়ন অংশীদার বিশেষজ্ঞরা এমন কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইওএম ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশ গতকাল এই অনুষ্ঠানেরে আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্রে বলা হয়, কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বিবাহের কারণে বাংলাদেশের মানুষ গ্রাম থেকে শহরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতি বছর অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন। কেবল ২০১৮ সালেই সাত লাখ ৩০ হাজার মানুষ বিদেশে গেছেন। এ কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও দেশের বাইরের অভিবাসন জটিল ও উদাহারণ দেয়ার মত একটি বিষয়। তবে নৈতিক নিয়োগ বিষয়ে সচেতনতার অভাব, সঠিক নিয়ম-নীতির প্রয়োগ না থাকা ও ব্যবসা পরিচালনায় সক্ষমতার অভাবে শ্রমিকরা ঝুঁকিতে আছেন।
বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, শ্রম বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। আমরা আমাদের শ্রমিকদের জন্য সেরাটা করতে চাই। এ জন্য সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে আইওএম বাংলাদেশের সহকারী মিশন প্রধান ডিমাঞ্চ শ্যারন বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্যবসার উল্লেখযোগ্য সুযোগ আছে। যেখানে নৈতিক নিয়োগসহ করপোরেট দায়বদ্ধতার বৈধকরণ ক্রমশ বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, চামড়াজাত পণ্য, জুতা প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা, আইএমও-এর লেবার মবিলিটি ও হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের প্রধান মারিনা মানকিসহ সরকারি, বেসরকারি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।