বাংলাদেশী এনজিও-সিএসওর জবাবদিহিতা ও প্রত্যাশার সনদ ঘোষণা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০১:১২
সারা দেশের স্থানীয় সিএসও-এনজিও তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রস্তুত করা নিজস্ব জবাবদিহিতা সনদ ও সরকার, দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের কাছে তাদের প্রত্যাশার সনদ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সিএসও-এনজিও সমন্বয় প্রক্রিয়া (বিডি সিএসও কোঅর্ডিনেশন) ও কোস্ট ট্রাস্ট। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সিএসও-এনজিও সমন্বয় প্রক্রিয়া (বিডি সিএসও কোঅর্ডিনেশন) ও কোস্ট ট্রাস্ট ‘উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয়করণের বিকল্প নেই : প্রয়োজন সিএসও-এনজিও বৃহত্তর ঐক্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কোস্ট ট্রাস্ট ও বিডি সিএসও কোঅর্ডিনেশন সচিবালয়ের রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ এনজিও ফেডারেশনের রফিকুল ইসলাম, এডাবের সহ-সভাপতি ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার মুক্তিযােদ্ধা রফিকুল ইসলাম, ডিজাস্টার ফোরামের নঈম গওহর ওয়ারা, বিডি সিএসও কো-অর্ডিনেশনের ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক মাসুদা ফারুক রতœা এবং বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম বক্তৃতা করেন। সংবাদ সম্মেলনে কোস্ট ট্রাস্টের বরকত উল্লাহ মারুফ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং মোস্তফা কামাল আকন্দ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মাসুদা ফারুক রতœা জবাবদিহিতা সনদ ও তার ৮টি দফা তুলে ধরে বলেন, জবাবদিহিতা সনদের শিরোনাম হচ্ছে- আমরা আমাদের মূল্যবেধে ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে দায়বদ্ধ। নঈম গওহর ওয়ারা বলেন, এই সনদ মূলত সরকার, দাতা সংস্থা, জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ও আন্তর্জাতিক এনজিওসমূহের কাছে স্থানীয় সংগঠনসমূহের প্রত্যাশা যেখানে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার করতে হবে, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে, উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সিএসও-এনজিওদের কাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, স্থানীয় সংগঠনের বিকাশে কারিগরি সহায়তা এবং সামর্থ উন্নয়নের বদলে পারস্পারিক সামর্থ্য বিনিময়, এবং সর্বোপরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ করবে। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সংগঠনসমূহের দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার কাজে তাদের দূরে রেখে সেই কাজ জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক এনজিওদের দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে বাংলাদেশের যেসব ছোট ছোট বেসরকারি সংস্থা কাজ করেছে, উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবেলার কাজে তাদের সামর্থ্য ও যোগ্যতা আছে। কিন্তু জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার অনেকেই সেই যোগ্যতাকে আমলে নেন না। বরকত উল্লাহ মারুফ তার লিখিত বক্তব্যে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার জন্য গ্রান্ড বারগেইন ও চার্টার ফর চেঞ্জ ইত্যাদি আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিগুলো ও তার ভিত্তি হিসেবে উন্নয়ন কার্যকারিতা প্রক্রিয়া ও স্থানীয়করণ বিষয়গুলোও ব্যাখ্যা করে বলেন, এই প্রতিশ্রুতিসমূহে জাতিসঙ্ঘসহ প্রায় সকল দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক এনজিওসমূহ স্বাক্ষর করলেও মাঠে তাদের কর্মকাণ্ডে তার প্রয়োগ কমই দেখা যায়। রেজাউল করিম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান যাতে তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিষয়গুলো নিয়ে জনমত গঠিত হয়। এতে স্থানীয় সংগঠনগুলো বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের চাইতে স্থায়িত্বশীল ও গণকেন্দ্রিক উন্নয়ন সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাওয়ার ও উন্নয়নে অবদান রাখার উৎসাহ পাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা