রূপনগরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণœ করতে অপচেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ জুলাই ২০১৯, ০০:১৬
পঞ্চম শ্রেণীর দু’জন ছাত্রীর দোলনায় ওঠাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে মিরপুর রূপনগর কামাল আহমেদ মজুমদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সুনাম ক্ষুণœ করছে একটি গোষ্ঠী। এ অবস্থায় স্কুলটির শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সুনাম অক্ষুণœ রাখতে নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে জরুরি ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: মোজাহারুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা, সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার শাপলা, পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী আব্দুল হাই হারুন, সদস্য সুইটি আক্তার এবং মারামারিতে অংশ নেয়া পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মৌমিতাসহ অন্যরা। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ৬ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জনৈক তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করে বলেছিলেন তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসতে দেয়া হয় না। পরিচালনা কমিটির সদস্য সুইটি আক্তার পুলিশ দিয়ে তার ছেলেকে পিটিয়েছে; কিন্তু তাদের এই অভিযোগ সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার দিন মৌমিতা ও তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে তামান্না (দু’জনে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী) স্কুলের একটি দোলনায় বসা নিয়ে মারামারি করে। এ সময় তামান্না কাউকে কিছু না বলে বাসায় গিযে তারা বাবা ও ভাই আল আমিনসহ কয়েকজনকে ডেকে আনে। তারা মৌমিতাকে মারার জন্য হামলা চালালে শিক্ষকরা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত আরো লোকজন ডেকে আনে আল আমিন। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়; কিন্তু তাতে খুশি হতে পারেনি তোফাজ্জলের ছেলে আল আমিন। সে বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার প্রতিশোধ হিসাবে মৌমিতাকে নিজ হাতে মারতে উদ্যত হয়। এমনকি পরিচালনা কমিটির সদস্য সুইটি আক্তারকেও ধাক্কা দিয়ে হেনস্তা করে। তখন পুলিশ তাকে ধমক দিয়ে থানায় নিয়ে গেলেও পরক্ষণে ছেড়ে দেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা