পাটজাত পণ্যে ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কের সমাধান চায় বিজেএসএ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৫
বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ) পাটজাত পণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কের বিষয়ে পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য সমাধান চেয়েছে।
গতকাল জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘পাটজাত পণ্যের ওপর আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক সংক্রান্ত ব্যবস্থা নির্ধারণ’ শীর্ষক এক স্টেকহোল্ডার সভায়, স্থানীয় শিল্পের উন্নতির জন্য কাঁচাপাট রফতানি সীমিত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মইনুল খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিজেএসএ চেয়ারম্যান তাপস প্রামাণিক।
আলোচনায় বাংলাদেশী পাটপণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ, পাটপণ্যকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি, একটি অন্যায্য করব্যবস্থা, ঋণ প্রাপ্তিতে অসুবিধা এবং উন্নত বীজ সরবরাহ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের ওপর আলোকপাত করা হয়।
এ সময় খাত সংশ্লিষ্টরা এই খাতের টেকসই এবং প্রবৃদ্ধি রক্ষার জন্য নীতি সংস্কার এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তারা বলেন, অন্যায় মূল্য নির্ধারণ এবং বাজার বিকৃতির কারণ উল্লেখ করে ভারত ২০১৭ সালে বাংলাদেশী পাটপণ্যের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছিল। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের পাট শিল্পকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছিল, রফতানি হ্রাস করেছিল এবং এই খাতের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিককে প্রভাবিত করেছিল।
বৈঠকে, ড. মইনুল খান পাট শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাস্তবসম্মত এবং গঠনমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে, এই খাতের সম্ভাবনা রক্ষা এবং উন্নত করার জন্য সমাধান অর্জন করা যেতে পারে।
এ দিকে পাট স্পিনাররা শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারতের সাথে জরুরি কূটনৈতিক যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছেন। এবং পাট খাতের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য ব্যাপক অভ্যন্তরীণ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা