লবণাক্ততা সহিষ্ণু উচ্চফলনশীল গমসহ ১৭ ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন গাকৃবির
- গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি
- ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত ১৭টি ফসলের নতুন জাতগুলোর পরিচিতি এবং উচ্চফলনশীল লবণাক্ততা সহিষ্ণু গম উৎপাদনের কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের আয়োজনে এবং পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. ফারহানা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণটি গতকাল ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪০ জন কৃষক-কৃষাণি। প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন গাকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোভিসি প্রফেসর ড. এম ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, পরিচালকবৃন্দ এবং গাজীপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো: হাসিবুল হাসান। প্রশিক্ষণের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ড. ফারহানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে ফসলের ১৭টি নতুন জাতের পরিচিতি তুলে ধরেন প্রোভিসি ড. এম ময়নুল হক। ড. ময়নুল হকের আলোচনায় বিইউ ধান ১, বিইউ মুগ ৩ -৭ সহ ছোলা, সয়াবিন, শিম প্রভৃতির নানা বৈশিষ্ট্য উঠে আসে। যেগুলোর কোনোটি উচ্চফলনশীল, কোনোটি সুগন্ধিযুক্ত, ভাইরাস সহনশীলসহ কোনোটিতে আবার সার ও পানির প্রয়োজন কম হয়। অন্যদিকে নতুন উদ্ভাবিত লবণাক্ততা সহিষ্ণু উচ্চফলনশীল গম উৎপাদনের কলাকৌশল নিয়ে তথ্যবহুল আলোচনা ও চিত্র উপস্থাপন করেন পরিচালক (গবেষণা) ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মসিউল ইসলাম।
আলোচনা শেষে প্রশিক্ষণার্থী হাফেজা বেগম বলেন, আজকের এ প্রশিক্ষণ থেকে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো সম্বন্ধে যে ধারণা লাভ করলাম তা অনুসরণ করলে কৃষি ক্ষেত্রে আমি লাভবান হবো। অন্যদিকে আরেক কৃষক আহসান উদ্দিন সরকারের বক্তব্যে মৌসুমি ফসল উৎপাদনের কলাকৌশলের বিষয়টি ফুটে ওঠে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসলের নতুন জাত তৈরি এবং উচ্চফলনশীল গম উৎপাদনের কলাকৌশল নিয়ে আজ যে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তা আমাদের দেশের কৃষির উন্নয়ন ও টেকসই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরি। ভিসি আরো বলেন, আমাদের গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্য শুধু কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নয়, বরং কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে সাশ্রয়ী ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। তবে কল-কারখানার শিল্প বর্জ্যরে ফলে যে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তার প্রভাব পড়ছে আমাদের কৃষি উৎপাদনের ওপর। এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন ভিসি। এ প্রশিক্ষণ কৃষকদের উপকারী হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণে উপস্থাপিত কলাকৌশল বাস্তবায়ন করে কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বানও জানান উপাচার্য।
উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণের এক পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা