কেরানীগঞ্জে র্যাব পরিচয়ে টাকা লুটের ঘটনায় কেউ আটক হয়নি
- ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কেরানীগঞ্জে র্যাব পরিচয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হোসেন আলী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা ও ১৩ ফেব্রুয়ারি মো: রাসেল আহম্মেদ (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লুটে নেয়ার ঘটনার চার দিনের মাথায় দু’টি অভিযোগ হলেও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় কোনো আসামি আটক বা গ্রেফতারে করতে পারেনি পুলিশ।
একটি মামলার বাদি রাসেল বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের তেঘরিয়া আন্ডারপাসের নিচে র্যাব পরিচয়ে আমার কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আমি লিখিত অভিযোগ করি। তবে অভিযোগ দায়েরের পর কোনো অগ্রগতি না পেয়ে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম স্যারের কাছে যাই। তিনি পরে এ ঘটনায় মামলা নিতে বললে চলতি মাসের ১৮ ফেব্রুয়ারি থানা পুলিশ মামলা রুজু করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামি আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি।
২২ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় মামলার বাদি মো: হোসেন আলী জানান, চলতি মাসের ১৬ তারিখ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নাজিরেরবাগ এলাকায় র্যাব পরিচয়ে আমার কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে সেদিনই আমি থানায় অভিযোগ করি। পরে জানতে পারি এ রকম আরো একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আমাকে নিয়ে দু’দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা রুজু করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো আসামি ধরতে না পারলেও পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদেরকে হতাশ না হতে বলেছে।
রাসেল আহম্মেদের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ছরোয়ার হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী রাসেল প্রায় ৪৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় অজ্ঞাত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করলে আমরা সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের এখনো পাকড়াও করতে পারিনি তবে চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
হোসেন আলীর করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খন্দকার সাজিদ হোসেন বলেন, র্যাব পরিচয়ে ২২ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় ভুক্তভোগী হোসেন আলী বাদি হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় আমরা এখনো কাউকে আটক করতে পারিনি তবে কাজ চলমান আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা