২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬
`

বাংলাদেশে সহায়তা প্রসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি অস্বাভাবিক

-

বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে একটি এনজিওকে ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দাবি করেছেন তা নিয়ে ঢাকায় নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশে এনজিও সেক্টর, বিশেষ করে বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে এত অর্থ কারা পেয়েছে এবং কিভাবে তা ব্যবহার হয়েছে? যদিও বাংলাদেশের এনজিও ব্যুরো বলছে, নিবন্ধিত ও সক্রিয় কোনো এনজিওর কাছে এ অর্থ আসার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
এনজিও সংশ্লিষ্টরাও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবিকে অস্বাভাবিক মনে করেন। তারা মনে করেন এমন বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউএসএআইডির উচিত কারা ওই অর্থ পেয়েছে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা।
এনজিও ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো: আনোয়ার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমরা এর মধ্যেই চেক করেছি। এই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে সক্রিয় কোনো এনজিওর মাধ্যমে এসেছে বলে কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কিছু টাকা আরো কিছু প্রক্রিয়ায় পাঠায়। সেভাবে কোনো অর্থ এসেছে কি না তা আমাদের জানা নেই।
বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও খাত নিয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবির। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘এটি (ট্রাম্পের দাবি) একটি অস্বাভাবিক দাবি। আমার মনে হয়, ইউএসএইডের অর্থায়ন বাতিলকে বৈধতা দিতে এখানে বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে বাংলাদেশের কোনো সংস্থার অর্থ নেয়ারই সুযোগ নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে এমন অভিযোগ আসার পর বাংলাদেশের এনজিও খাতের জন্য এটি নেতিবাচক হবে এবং এনজিওদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
কী বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প : গত শনিবার ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালীকরণের’ নামে বাংলাদেশে ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানটি বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার গভর্নর্স ওয়ার্কিং সেশনে বাংলাদেশকে দেয়া ইউএসএইডের ২৯ মিলিয়ন ডলারের কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে। তা এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে, যার নাম কেউ শোনেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ২৯ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছিল রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে শক্তিশালী ও সাহায্য করার জন্য। যাতে বাংলাদেশে একটি উগ্র বাম কমিউনিস্টকে ভোট দিতে পারে। আপনারা দেখতে পাবেন তারা কাকে সমর্থন দিয়েছে। ওই সংস্থায় মাত্র দু’জন কাজ করেন। আমার মনে হয়, তারা এখন খুবই খুশি; খুবই ধনী। কোনো ব্যবসায়িক সাময়িকীর প্রচ্ছদে শিগগিরই তাদের ছবি ছাপা হবে, প্রতারণায় সেরা হওয়ার জন্য।


আরো সংবাদ



premium cement
পাঠ্যবই মুদ্রণে সফল ৩৫ প্রতিষ্ঠানকে এনসিটিবির সংবর্ধনা অপারেশন ডেভিল হান্টে আরো ৫৮৫ জন গ্রেফতার সেনা অফিসারদের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ দেশের আকাশসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট : বিমান বাহিনী রমজানে কোনো নিত্য পণ্যের দাম বাড়বে না : অর্থ উপদেষ্টা নতুন গবেষণা ইনস্টিটিউটের আত্মপ্রকাশ মিরসরাইয়ে উদয়ন মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন নাহিদের পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে যা জানা গেল জার্মান নির্বাচন : বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে সিডিইউ কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বসতঘর থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার পাবিপ্রবিতে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সকল