২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`

দেশকে আর কেউ উপনিবেশে পরিণত করতে পারবে না : ড. মাহমুদুর রহমান

-

মুজিববাদ ও শেখ হাসিনার ফাসিবাদ এবং ভারতীয় হেজিমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, সেটা চলবে, বাংলাদেশকে আর কেউ কোনোদিন উপনিবেশে পরিণত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহামান। গতকাল রাতে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহীদ আবু সাঈদ মেলার বিশেষ আলোচনা সভায় এসে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফসর ড. মো: শওকাত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী, বেরোবির গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো: তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আবু সাঈদকে স্মরণ করেই যেন আমরাও তার মতো সাহসী হয়ে উঠতে পারি। আবু সাঈদের মতো শহীদদের জন্যই বাংলাদেশের পরিবর্তন হয়েছে। সাঈদ ফেলানীদের স্মৃতি থেকে এদের যে সাহস, এদের যে আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জন্য- সেখান থেকে জেনারেশনের পর জেনারেশন অনুপ্রাণিত হবে।’

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ২৪-এর বিপ্লবের পর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হেজিমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু হয়েছে- সে লড়াই চলতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে আর কেউ কোনোদিন উপনিবেশে পরিণত করতে পারবে না। সেই পথ আমাদেরকে আবু সাঈদ দেখিয়ে দিয়েছেন। আবু সাঈদের প্রতি অসিম শ্রদ্ধা এবং তার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও একটা বিশাল গৌরবের ব্যাপার। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশে না- বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আবু সাঈদের যে আত্মত্যাগ সেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, আমি নিশ্চিত বিশ্বের বিপ্লবের ইতিহাসে এটা বারবার চর্চিত হবে। আর যখনই আবু সাঈদের নাম চর্চিত হবে- তখন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও চর্চিত হবে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘একুশে পদক যখন আমি গ্রহণ করেছি- তখনই সেটকে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের জন্য উৎসর্গ করেছি। আমার অনুভূতি হলো বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। এই প্রাপ্তি আমার নিজের জন্য যে বিরাট প্রাপ্তি তা আমার মনে হয়নি। কিন্তু আমি মনে করেছি আমি যে পত্রিকা চালিয়েছি, যে পত্রিকা আমার লড়াইয়ের হাতিয়ার ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এবং ভারতীয় হেজিমনির বিরুদ্ধে। সেই পত্রিকাটির যে পরিবার, এই প্রাপ্তি সেই পত্রিকাটির পরিবারের জন্য এটা বিশাল স্বীকৃতি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement