২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`

ইউনেস্কো সদর দফতরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠিত

-

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালন উপলক্ষে প্যারিসে জাতিসঙ্ঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সদর দফতরে দ্বিতীয় দিনের মূল আয়োজন গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের জন্য বিশেষ এই আয়োজনে গেস্ট অব অনার হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের ভাষাবিদ, ভাষা বিশেষজ্ঞ এবং ইউনেস্কোর সদস্য-রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী এবং অতিরিক্ত সচিব নাফিজা সাইমা। ইউনেস্কোর রেজল্যুশন ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে। এই দিবস ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য একটি সফল কূটনৈতিক অর্জন।

২০২৪ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসের উদ্যোগে ইউনেস্কোর নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় দিবসটির রজত জয়ন্তী পালনের জন্য একটি রেজল্যুশন উত্থাপন করা হয়, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশে দূতাবাস ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা বলেন, ইউনেস্কো ৬৬টি সদস্য-দেশের সমর্থনে গৃহীত এই রেজল্যুশনের ফলে ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করেছে। তিনি এটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক অর্জন বলে উল্লেখ করেন। ভাষা সংরক্ষণ ও মাতৃভাষার গুরুত্ব এই আয়োজনের প্রথম দিন, ২০ ফেব্রুয়ারি, মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ভাষাবিদ, ভাষা বিশেষজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তিরা অংশ নেন। আলোচনায় উঠে আসে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মাতৃভাষা-ভিত্তিক শিক্ষা এবং ভাষাকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সমাপনী অনুষ্ঠান ২১ ফেব্রুয়ারির মূল আয়োজনে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের আয়োজনের পাশাপাশি বাংলাদেশী শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিল্পীদের মনোজ্ঞ পরিবেশেনা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement