২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`
বেবিচকে ক্ষোভ

বদলির ২ মাসের মাথায় স্বপদে সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের ভাগ্নি জামাতা

-


বদলির দুই মাসের মাথায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক খানের ভাগ্নি জামাই নায়েমুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।
অভিযোগ রয়েছে বিগত সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত নায়েমুজ্জামানসহ চার শীর্ষ কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত অপরাধীরা বিমানবন্দর ব্যবহার করে নিরাপদে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, এপিবিএন এভসেক দ্বন্দ্বের ক্রীড়নক হিসেবেও কাজ করছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে একটি পৃথক সংস্থা গঠনের গোপন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যাকে ইতিবাচক মনে করছেন না নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অনেকে।
বেবিচকের সদস্য নিরাপত্তা এই নায়েমুজ্জামান খান সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেফতার কর্নেল (অব:) ফারুক খানের আপন বোনের মেয়ের জামাতা। হাসিনার দোসর হিসেবে পরিচিত অপর তিন কর্মকর্তা হলেন, সদস্য পরিচালনা আবু সাঈদ মেহবুব খান, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম, এভিয়েশন সিকিউরিটির প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত এই কর্মকর্তাদের নিয়োগ হয়। তখন থেকে তারা নানা প্রভাব খাটাতে থাকেন। ৫ আগস্টের পর গত ২ ডিসেম্বর এদের মধ্যে সদস্য নিরাপত্তা বদলি হলেও অদৃশ্য শক্তিতে তিনি তার বদলির নির্দেশ স্থগিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেবিচকের কর্মকর্তারা বলেন, এই চার কর্মকর্তার কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত সরকারের পতনের পরপরই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করলেও কোনো কাজে আসেনি। বিগত সরকারের সময় যেমন তারা প্রভাব খাটিয়ে অন্যদের কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। এখনো একইভাবে ভিন্ন মতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর প্রভাব খাটাচ্ছেন।

কর্মকর্তারা বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর যেসব এমপি মন্ত্রী দেশ ছেড়েছেন তাদের সবাইকে পালাতে এরাই সহযোগিতা করেছে। এমনকি এখনো করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টির জন্য এক রেমিট্যান্সযোদ্ধাকে তার বাবা-মার সামনেই পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এই ঘটনায় বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক পদত্যাগ করলেও নাটের গুরুরা রয়েছেন আড়ালে।
বিগত ৫ আগস্টের পর বিমানবন্দরে শতাধিক যাত্রী হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা আলোচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দরে নিয়োজিত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও বেবিচকের সিকিউরিটি সংস্থা এভসেকের মধ্যে দ্বন্দ্বের ক্রীড়নক হিসেবেও তারা কাজ করছেন। বিমানবন্দরের ভেতরে এয়ারসাইটে আর্মড পুলিশের কমান্ড সেন্টার দখল ও মালামাল খোয়ানোর ঘটনায় আর্মড পুলিশ জিডি দায়ের করে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া পুলিশ সদর দফতরে আইজিপির সাথে দেখা করে বিষয়টির সমাধানে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় বিমানবন্দরে ভেতরে এয়ারসাইটে এপিবিএন আগের মতো ডিউটি করবে বলেও কথা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement