২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

দেশের খাদ্য পরিস্থিতি ভালো, গুদামে চাল লুকিয়ে রাখা যাবে না - অর্থ উপদেষ্টা

-

দেশের খাদ্য পরিস্থিতিটা ভালো আছে বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। এখন অন্য পণ্যে খাতে দাম বাড়বে-কমবে। আমি বলেছি একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে, সেখানে একটা কমবে একটা বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান আছে কমেছে।
রমজানে দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় মনিটরিং করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছেও বলেন জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গুদামের চাল লুকিয়ে রাখা যাবে না।
গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, দেখা যায় যে খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে লুকিয়ে রাখা হয়, এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটা নিশ্চিত করবো।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আজকে অনেক দীর্ঘ মিটিং হয়ছে, অনেকগুলো এজেন্ডা ছিলো। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সারের গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তা রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতকগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি?

তিনি বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ, রাস্তা রয়েছে কতকগুলো।
ক্রয় কমিটির প্রায় প্রতি বৈঠকেই চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। দেশের খাদ্য পরিস্থিতিটা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না।
মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ মাতারবাড়ি একটা বড় প্রকল্প, কিন্তু বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজরা করেছে, জাপানিজ গ্রান্ড (অনুদান)। আপনারা জানেন জাপানি অনুদানের শর্তগুলো খুবই সহনীয়। আর একটা সুবিধা হলো এ পর্যন্ত জাপানিরা যে ঋণ দিয়েছে কয়েক বছর তা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রজেক্ট। এটার রোডের ব্যাপার আছে, আর কিছু নির্মাণ কাজ আছে।
তিনি বলেন, সব থেকে বড় ব্যাপার হলো মাতাবাড়ি একটা ইন্টিগ্রেটেড প্রজেক্ট। পোর্ট অথরিটি ওখানে চট্টগ্রাম পোর্টের একটা জেটি করবে। ওখানে একটা প্রাইভেট জেটি অলরেডি আছে। এই প্রকল্পের সুবিধা হলো সেখানে পোর্টের কিছু সুযোগ-সুবিধা বাড়বে এবং পাওয়ার জেনারেট হবে। উপকরণগুলো সব জাপানি। বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে, এখন শুধু বাকিটা করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement