দুই শিক্ষা বোর্ডের ৩১৭৩ ইন্সট্রাক্টর প্রার্থীর ডোপ টেস্ট হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৮
মাদরাসা ও কারিগরি বোডের্র তিন হাজার ১৭৩ জন ইন্সট্রাক্টর পদপ্রার্থীর মাদক গ্রহণ নিশ্চিত পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট হবে। ডোপ টেস্টে কোয়ালিফাই করলেই চাকরি নিশ্চিত হবে। ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পারলে পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও চাকরি পাওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পরিচালকের স্বাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি টেকনিকেল স্কুল ও কলেজের ১০ গ্রেডের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) ও ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টরদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের আগে ডোপ টেস্ট করে নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ডোপ টেস্টে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক হাজার ৫৮২ এবং সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের এক হাজার ৫৯১ জনের টেস্টের তালিকা করা হয়েছে। মহাখালী জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ২৪৬ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২১৩ জন, শেরেবাংলা নগরের জাতীয় মানসিক হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৫০ জন, মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১৮৫ জন, মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৫৩ জন, শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহারাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১০ জন, শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ২২৫ জন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৭৬ জন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) ২৬৭ জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৩১২ জন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩৩২ জন এবং পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩০৪ জনের পরীক্ষা হবে। তবে তাদের ডোপ টেস্ট কবে হবে সে তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কার কোথায় টেস্ট হবে তা জানানো হবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগ, চাকরিরত অবস্থায় কারো বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের সন্দেহ হলে যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, কর্মরত অবস্থায় গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে ‘মাদক গ্রহণ করে’ এমন সন্দেহ হলে, সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাদকদ্রব্য গ্রহণের সন্দেহ হলে, বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তি, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, স্থলযান, নৌযান ও আকাশযান চালানোর লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসার প্রয়োজনেও চিকিৎসক এই পরীক্ষাটি করতে পারেন।
মানবদেহের জৈবিক নমুনা হিসেবে মূত্র, রক্ত, চুল, ঘাম, নখ, নিঃশ্বাস, লালা অথবা মানবদেহের যেকোনো অঙ্গ বা অঙ্গের অংশবিশেষ বা দেহ-তরলের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মাদকদ্রব্য অথবা মাদকের উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। ফল ইতিবাচক হলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে একই নমুনার চূড়ান্ত পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে চুল অথবা নখ ব্যবহার করে সরকার অনুমোদিত পরীক্ষাগারে চূড়ান্ত পরীক্ষা করা যাবে। পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলে ওই ব্যক্তি মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেছে বলে ঘোষণা করা হবে। সংগ্রহ করা জৈব নমুনার অবশিষ্টাংশ ডোপ টেস্টের পর ৩০ দিন সংরক্ষণ করার কথা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা