ভাইবোনের পর আরো একজন মারা গেছেন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৫
সাভারের আশুলিয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা গেছেন। তার নাম শারমিন আক্তার (৩৫)। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়াল।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা: শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শারমিনের শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে গত শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি আক্তার (৩২) মারা যান। এর প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর গত রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার ভাই সুমন রহমান (৩০)। শিউলি ও সুমন মুন্সীগঞ্জের নিমতলী এলাকার আলাউদ্দিনের সন্তান।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরো আটজন চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আটজনের মধ্যে সোয়ায়েদের ২৭ শতাংশ, মনির হোসেনের ২০ শতাংশ, মাহাদীর ১০ শতাংশ, শামীমের ১৪ শতাংশ, সোহেলের ১০ শতাংশ, সুরাইয়ার ৯ শতাংশ, সূর্য বানুর ৭ শতাংশ ও জহুরা বেগমের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
গত শুক্রবার আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় ভাই সুমন রহমানের ভাড়া বাসায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান শিউলি। ওই বাসায় সুমন তার স্ত্রী শারমিন ও তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। ঘটনার দিন সুমনের ভাই সোহেল, সুমনের মা সূর্য বানু ও ফুফু জহুরা বেগম ওই বাসায় যান। বিকেল থেকে বাসায় রান্নাবান্না চলছিল। মশার উপদ্রবের কারণে সন্ধ্যার খানিক আগেই বাসার সব জানালা লাগিয়ে দেয়া হয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে রান্নাঘরে আবার গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দ হয়। মুহূর্তেই ঘরময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাসায় থাকা ১১ জনের সবাই দগ্ধ হন। পরে তাদের আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা