১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ শাবান ১৪৪৬
`
আবুল কাশেমের মৃত্যু

কফিনমিছিল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি

-

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আবুল কাশেমের কফিন নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে মিছিল হয়েছে। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যায়। মিছিল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ নেতারা। গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আবুল কাশেমের (২০) মৃত্যু হয়।
গতকাল রাত পৌনে ৯টায় লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে নিহত আবুল কাশেমের লাশ শহীদ মিনারে আনা হয়। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো লাশটি রাখা হয়। সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজা শুরুর আগে কাতারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে আমাদের ভাইকে হত্যার পেছনে যারা সক্রিয়ভাবে থেকেছে, হুমকি দিয়েছে ও পরিকল্পনা করেছে, তারা সবাই ফ্যাসিবাদী লীগ। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার বিন্দু পরিমাণ অধিকার রাখে না।’ তিনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ারও দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘শহীদ ভাইয়ের লাশের শপথ নিয়ে বলছি, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব।’

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ছয় মাস পর জুলাই বিপ্লবীদের আওয়ামী লীগের হাতে শহীদ হতে হচ্ছে। এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সম্মিলিত ব্যর্থতা। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আ’ লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য আপনারা আর কত সময় নেবেন? আপনারা দ্রুততম সময়ে আইনগত প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।’
এ সময় হাসনাত বলেন, ‘আবুল কাশেমের লাশ সামনে রেখে শপথ নিচ্ছি, আওয়ামী লীগকে আমরা নিষিদ্ধ করে ছাড়ব। এই দেশে হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, নয়তো আমরা থাকব।’ সাংস্কৃতিকসহ নানা তৎপরতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নেতাদের বক্তব্যের পর আবুল কাশেমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীসহ কয়েক শত শত মানুষ এতে অংশ নেন। নামাজে জানাজা শেষে কাশেমের লাশ কফিন নিয়ে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড়ের আগে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য রিফাত রশীদ, আহনাফ সাঈদ খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের। তারাও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। রাত সোয়া ১০টায় সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শাহবাগ থেকে চলে যান।


আরো সংবাদ



premium cement
পাকিস্তান সফরে এরদোগান তজুমদ্দিনে গণধোলাইতে ২ গরু চোর নিহত পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানের মধ্য দিয়ে ইউএসএডের সহায়তা বন্ধে বিশ্বের ৫০টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত : ডব্লিউএইচও ভারতের আগে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় খনি কেন্দ্রের কাছে তীব্র ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু গাজায় যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরাইলের হাতে নিহত ১১৮ ফিলিস্তিনি, আহত ৮২২ লিবিয়ায় আটক থাকা ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী ঢাকায় ফিরলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সাথে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

সকল