আবরার হত্যা মামলায় হাইকোর্টে তৃতীয় দিনের শুনানি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:১৮
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে তৃতীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়।
এদিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েছে। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় গত বুধবার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: জসিম সরকার ও খন্দকার বাহার রুমি। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী।
আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী জানান, গতকাল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক থেকে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়েছেন। এর আগের দিন শুনানিতে পেপারবুক থেকে এজাহার, অভিযোগপত্র, অভিযোগ গঠন ও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনায় রাষ্ট্রপক্ষ। আগামীকাল আবার শুনানি হবে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এ মামলার শুনানি শুরু হয়।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এ ছাড়া এ মামলার রায় অনুযায়ী আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। পরে কারাবন্দী আসামিরা জেল আপিল করেন। পাশাপাশি অনেকে ফৌজদারি আপিলও করেছেন।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামান ওই রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো: ওয়াহিদুজ্জামান।