গ্রেফতার ১৭৭৫ জন নৌবাহিনীর অভিযানে ককটেল বিস্ফোরণ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করে আরো এক হাজার ৭৭৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৬০৭ জন ও অন্যান্য মামলায় এক হাজার ১৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। অপারেশন ডেভিল হান্টে এখন পর্যন্ত দু’টি বিদেশী পিস্তল, একটি এলজি, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি কার্তুজ, ২টি চাপাতি, ৬টি দা/রামদা, ১৩টি চাকু/ছোরা, ২টি কুড়াল, একটি করাত, ৩টি হাতুড়ি, ২টি প্লাস, ২টি বাটাল, ২টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট। এই অভিযানে গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।
নৌবাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসীদের ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেফতার ৮ : অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে নৌবাহিনী যৌথ অভিযানে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় বিদেশী অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ পৃথক অভিযানে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযান চলাকালে গত সোমবার রাতে হাতিয়া থানার ৬নং চরকিং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কলেজ রোডের হাজী আবুল বাশার মার্কেট কাওসার মিয়ার ব্রিকফিল্ড এলাকায় যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ঘটনাস্থল হতে মো: নবির উদ্দিন, মো: ইমাম হোসেন ও মো: ফখরুল ইসলাম টিপুকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল (ম্যাগাজিন ও ১ রাউন্ড গুলিসহ), তিনটি একনলা দেশীয় বন্দুক, আটটি কার্তুজ, ২০টি ককটেল, ২টি ডেগার, ৩টি ক্রিজ ও ১টি তলোয়ার উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে পরিচালিত অভিযানে হুমায়ুন কবির ওরফে বাবুল নামক এক সন্ত্রাসীকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া মোংলা বন্দর ও দিগরাজ এলাকায় অন্য আরেকটি যৌথ অভিযানে ৪ জনকে অস্ত্রসহ আকট করা হয়। এ সময় একটি দুইনলা বিদেশী বন্ধুক ও ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। যৌথবাহিনীর অভিযানসমূহে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাথে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও পুলিশ অংশগ্রহণ করে।