চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়াকে বহিষ্কারের দাবি
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৪
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশগ্রহণকালে হামলা-মামলার শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়াকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে প্রেস ক্লাবের সামনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নির্যাতিত পরিবারের ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিএনপি নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিএনপিকে অন্তরে ধারণ করেছি বিধায় জেল-জুলুম খেটেছি। কিন্তু কয়েক দিন আগে যারা আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পেয়েছেন তারা দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দালালি করেছেন। সেসব লোকজন এখন পদ-পদবি নিয়ে বিএনপিকেই অপমানিত করছে।
বক্তারা বলেন, ১৭টি বছর আমরা মামলা হামলার শিকার হয়েও রাজপথে আন্দোলনে ছিলাম। সর্বশেষ ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করেছি। রাজনৈতিক মামলায় আদালত প্রাঙ্গণে এখনো হাজিরা দিতে হয়। আর দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিতে আসা ফ্যাসিবাদের দোসররা বলছে, আমরা নাকি নিজেদের দোষেই মামলা খেয়েছি। বিশেষ করে নতুন কমিটির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া সম্প্রতি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে গণমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। তারা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম। তাই আমরা মামলা হামলার শিকার হয়েছি। আর এখন যারা কমিটিতে এসেছেন, তারা আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দালাল ছিলেন। যে কারণে হাসিনার সরকার তাদের কোনো ক্ষতি করেনি।
মানববন্ধনে গাজী আবু তাহের, মো: আবদুল মাবুদ, ইব্রাহিম সওদাগর, ইয়াসিন আরফাত, এস এম নয়ন, চৌধুরী হারুন, আলম খান, ওবায়দুল হক রিকু, মাকসুদুল হক রিপন, ফয়সাল সিকদার সোহান, মহিউদ্দিন সাগর, আব্দুল্লাহ আল নোমান জিহাদ, এমরান, খোরশেদ, মিনহাজ উদ্দিন ইমনসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারা নির্যাতিত নেতারা বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বলেন ২০১৮ সালের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়নি। যারা মামলার আসামি হয়েছেন, তারা অতিউৎসাহী হয়ে মামলার আসামি হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি।