বিএনপি নেতা পিন্টু হত্যার অভিযোগে রাজশাহীতে হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকাবস্থায় অসুস্থ বিএনপির সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টুকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা হয়েছে। বিএনপি নেতা পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু বাদি হয়ে গতকাল দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে, তা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- পতিত আ’লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাজী সেলিম, ইরফান সেলিম, তৎকালীন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, রাজশাহীর উপ কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) বজলুর রশিদ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান এবং জেলার শাহাদাত হোসেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টুকে ২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি করা হয়। এ মামলায় ওই বছরের ৩ জুন পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও আদালত এ মামলার রায়ে নাসির উদ্দিন পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে পিন্টুকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আকতার কল্পনা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এ ছাড়া ২০১৪ সালে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতে পিটিশনও দাখিল করেন। এরপর আদালত নিজ খরচে পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিয়মিত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এ নির্দেশ অমান্য করে প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।