০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`

দু’দেশের সব চুক্তিকে সম্মান জানানো হবে প্রত্যাশা ভারতের

-

দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সই হওয়া সব সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তিকে সম্মান জানানো হবে বলে প্রত্যাশা করে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রনধীর জয়সোয়াল গত শুক্রবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন। তার কাছে আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বিএসএফ-বিজিবি মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
জয়সোয়াল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক হবে। আমরা আশা করি, দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সব এমওইউ ও চুক্তিকে সম্মান জানানো হবে। এগুলো দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের কাঠামোগত সম্পর্কের ভিত্তি। এই এমওইউ ও চুক্তিগুলো সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ও বাণিজ্যকে সহায়তা করে থাকে। তিনি বলেন, আসন্ন বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত সব প্রস্তাবিত ইস্যুতে আলোচনা হবে। বিএসএফ-বিজিবি সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
ঢাকায় সচিবালয়ে গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সাথে সই হওয়া সব ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে হলে দুই পক্ষে অনুমতি নিতে হয়। এগুলো একপক্ষে করার নিয়ম নাই। যদিও ভারত এভাবেই করতে চায়। একটা মসজিদ বা মন্দির করতে হলেও দুই দেশের সম্মতি প্রয়োজন হয়। আগামীতে কিছু করতে হলে যেন তারা বাংলাদেশের সম্মতি নেয় এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে। তিনি বলেন, বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক অথবা দুষ্কৃতকারী কর্তৃক সীমান্ত হত্যা, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বা কাউকে আহত করা বন্ধ করার বিষয়ে মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনা হবে। সম্মেলনে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক করা বন্ধ করতে আলোচনা হবে। বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন বা অবৈধ পারাপার অথবা অনুপ্রবেশ বন্ধে গুরুত্ব দেয়া হবে। ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধের ওপর জোর দেয়া হবে। এ ছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয়, এরকম চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন করার বিষয় আলোচনা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement