৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

সরকারকে সঠিক পথে আনতে আন্দোলন হতে পারে : সালাহউদ্দিন

-


সরকারকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য সড়কে আন্দোলন করতে হতে পারে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখনকার প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা, ব্যর্থতা, সিদ্ধান্তহীনতা। যদি আমরা এ সরকারকে সফল করতে চাই, তবে সরকারকে গাইড করতে তাদের তীব্র সমালোচনা করতে হবে। সরকারকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য এমনকি সড়কে আন্দোলন করতে হতে পারে। সরকার মাত্রই সিদ্ধান্তের মধ্যে ভুল করতে পারে। সেটার সব সরকারের জন্যই প্রযোজ্য। অন্তর্র্বর্তী সরকার সব সিদ্ধান্ত যে নির্ভুলভাবে নেবে- এটা ঠিক নয়। ভুল তাদেরও হতে পারে। সেটাকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দায়িত্ব সাংবাদিক সমাজ, রাজনৈতিক দলগুলো এবং গণতান্ত্রিক, শক্তিগুলোর ভূমিকা আছে।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) কর্তৃক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের কিছু ভুল শুধরিয়ে সঠিক রাস্তায় এনে গণতান্ত্রিক রাস্তা বিনির্মাণের জন্য এবং একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক পথ পরিষ্কার করার জন্য শিগগিরই আমরা কিছু পদক্ষেপ নেবো। এটাকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বলতে পারেন, সমালোচনা বলতে পারেন। অন্তর্র্বর্তী সরকারের একটি গুণ আছে, তা হলো মাঝে মধ্যে ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও সমালোচনার মুখে তা শুধরায়। গো ধরে বসে থাকে না। সরকার যখন ভুল শুধরায় তখনই মনে হয় এ সরকার জনগণের সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন যদি বিলম্বিত করা হয়, কী কারণে বিলম্বিত করবেন? সে যুক্তিগুলো সরকারকে তুলে ধরতে হবে। ইতোমধ্যে ছয় মাস পার হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট প্রদান করেছে। সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট পেশের পরে দেশের রাজনৈতিক শক্তি, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে উপস্থাপন করার কথা। কিন্তু ১৪ দিন হয়ে গেল এ ধরনের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি সরকারের পক্ষ থেকে।

‘সংস্কারের মধ্যে যে বিষয়গুলো সব রাজনৈতিক শক্তি ও গণতান্ত্রিক শক্তি ঐকমত্যে পৌঁছতে পারে সেগুলোকে আগে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে বিষয়গুলো দেশের রাজনৈতিক কালচারে ও সমাজে যায় না সেগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। আমি দেখলাম সংবিধান সংস্কারে প্রথম অংশেই স্বাধীনতার মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে জুলাই-অগাস্টকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের যেকোনো প্রেক্ষাপট কি স্বাধীনতার সাথে যায়? এটা চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন বিভিন্নভাবে, বিচ্ছিন্নভাবে কথা বলছি। কালকেও দেখলাম আওয়ামী লীগ এই দেশে নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচন করতে দেয়া হবে না, নিষিদ্ধ করা হবে। এই বিষয়ে আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি- এটা বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। যেই দল ফ্যাসিবাদী চরিত্রে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যে দল দায়ী, যে দলের নির্বাচিত সরকার দায়ী অনির্বাচিত হলেও। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এই দেশে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। সুতরাং সেই ব্যক্তির সাথে সেই সংগঠনেরও বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থ সারথি দাসের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, সাংবাদিক নেতা বাছির জামাল, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement