এডিসি মইনুলসহ সাবেক ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে প্রেরণ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৩
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা, ভবনের ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা ব্যক্তিকে বারবার গুলি করাসহ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে করা মামলায় মিরপুর বিভাগের সাবেক এডিসি এম এম মইনুল ইসলামসহ পুলিশের তিন সদস্যকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
অন্য দুই আসামি হলেন- চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরার ঘটনায় শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি অপারেশন্স মোহাম্মদ আরশাদ হোসেন ও রামপুরায় একটি ভবনের ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় আলোচিত পুলিশের সাবেক উপ পরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।
গতকাল বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বে দুই সদস্যেরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক তিনটি আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আরশাদ হোসেনের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ ফেব্রয়ারি দিন ঠিক করেছেন। আর বাকি দুইজনের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
ট্রাইব্যুনালে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও গাজী এম এইচ তামিম। এ সময় প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার, ফারুক আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, এস এম মঈনুল করিম, মো: সাইমুম রেজা তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, এডিসি মইনুল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মিরপুরের দায়িত্বে ছিলেন। মিরপুরে অনেক অকারেন্স হয়েছে। এডিসি মইনুল সরাসরি এসব ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন।