ভারতে বাংলাদেশী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ঢাবিতে বিক্ষোভ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৬
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জুলাই অভুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’,‘দালালি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’ ইত্যাদি সেøাগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, ভারত যদি মনে করে ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড করলে কোনো বিচার হবে না, তাহলে ভুল করছে। বাংলাদেশের সাথে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে আপনারা ভুল করছেন।
অন্যতম সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই হত্যার বিচার চায়। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের স্বাধীনতা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলে দিতে চাই, আপনারা যদি নাজমা হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদক্ষেপ না নিলে জনগণ মেনে নেবে না।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম বলেন, ভারতের হাতে বাংলাদেশীদের খুন কোনো নতুন ঘটনা নয়। বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে ভারত একের পর এক খুন করেই গেছে। অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তারা এই দেশকে করদরাজ্য বানিয়ে রেখেছিল। গত ৫৪ বছরে ভারতের আধিপত্যের কারণে যত খুন হয়েছে, তার সবগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখাতে চেয়েছে ভারত। তারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে নিজ দেশে ঘৃণা উৎপাদন করেছে। এ হত্যাকাণ্ড তারই ফলাফল। ভারতের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সেখানকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ভারতের কর্নাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে ২৮ বছরের বাংলাদেশী এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। দেশটির পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা