শেখ রাসেলকেও কেন হত্যা করতে হয়েছিল কারণ জানালেন রাশেদ চৌধুরী
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
১৫ আগস্ট ১৯৭৫। সে দিন সকাল থেকে রেডিওতে ঘোষণা হচ্ছিল, শেখ মুজিব ইজ ডেড। কেন শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ক্যু, কেনইবা তাকে সপরিবারে হত্যা করা হলো, শিশু শেখ রাসেলও কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হলো? সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভে এ বিষয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক)। পরবর্তীতে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাদেরকে জীবিত ছেড়ে দেয়া কি সবচেয়ে বড় ভুল ছিল- এমন প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন রাশেদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে যুক্ত হন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী। এই আলোচনায় তিনি জানান, কিভাবে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেন ঘটালেন? জানতে চাইলে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী বলেন, যুদ্ধের পর দেশের অবস্থা দেখে তারা হতাশ হন। ১৯৭২-৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ ও লুটপাটের পরিস্থিতি ইয়াং অফিসারদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। পরিবর্তনের উপায় নিয়ে গোপনে আলাপ চললেও সিনিয়ররা তা প্রকাশ করতেন না। ১৯৭৫ সালের ঘটনাটি আগে থেকে কল্পনা করা হলেও বাকশাল গঠনের পর চিন্তাভাবনা আরো গভীর হয়। তবে তিনি মূল পরিকল্পনার অংশ ছিলেন না, শুধু আলাপ-আলোচনা করতেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ চৌধুরী জানান, ১৫ আগস্টের অপারেশনের নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক, আর রশিদের দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের একত্রিত করা। শেখ মুজিবের বাসা, সেরনিয়াবাতের বাসা, রেডিও স্টেশন ও শেখ মনির বাসাকে টার্গেট করা হয়। মেজর ডালিম রেডিও স্টেশন ও সেরনিয়াবাতের বাসার দায়িত্বে ছিলেন, আর তিনি ছিলেন রেডিও স্টেশনে ডালিমের অধীনে। তিনি বলেন, ভোরের দিকে রেডিও স্টেশন টেকেন ওভার করে ভাষণ দেয়ার জন্য প্রস্তুত করেন এবং পরে ডালিম এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘উই হ্যাভ ডান ইট।’
অপারেশনে যাওয়ার আগে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হয়নি জানিয়ে রাশেদ চৌধুরী বলেন, মুজিবের ভাগ্য কী হবে তা তারা জানতেন না। তার কথায়, মুজিবকে বাসায় মারার কোনো প্ল্যান ছিল না; পরিকল্পনা ছিল তাকে অ্যারেস্ট করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে এসে সামারি কোর্ট মার্শাল করা। রশিদ ও ফারুক ছিলেন অরিজিনাল প্ল্যানার। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রশিদ খন্দকার মোশতাককে নিয়ে রেডিও স্টেশনে আসেন এবং গার্ড অব অনার দেয়া হয়, কারণ তিনি তখন বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট। এরপর রেডিও স্টেশনটি নতুন সরকারের হেডকোয়ার্টার হয়ে ওঠে।
রাশেদ চৌধুরী বলেন, মুজিবের বাসভবনে কী ঘটেছিল তা তিনি সরাসরি দেখেননি, তবে পরবর্তীতে জানতে পারেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা