২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`
চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু

টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি ১১৮ আইনজীবীর

-

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে নগরায়নের স্বার্থে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক হজরত শাহ আমানত (রা:) সেতুর ওপর ধার্যকৃত টোলের নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ১১৮ জন আইনজীবী।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ মহাসচিব ও সিডিএ বামতীর হাউজিং প্লট মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: ফয়েজ উল্লাহ, বিএনপির লিগ্যাল এইড কমিটি কর্ণফুলী উপজেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম ফোরকান, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো: সেলিম, অ্যাডভোকেট মোক্তার আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, অ্যাডভোকেট মো: আইউব শিকদার, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসাইন জুয়েল, অ্যাডভোকেট এস এম ফখরুদ্দীন, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ, অ্যাডভোকেট আশীষ কিরণ দাশ, অ্যাডভোকেট প্রফেসর ড. হাফেজ আহমদ, অ্যাডভোকেট আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, অ্যাডভোকেট নুরুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট মো: নূর মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকছুদুজ জামান, অ্যাডভোকেট আবু তালেব, অ্যাডভোকেট মো: হাসান আলি, অ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমুখ বিবৃতিতে এই ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা বলেন, এটি সরকারের ওয়ান সিটি টু টাউন থিউরিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন- পৃথিবীর যে কোন বড় বড় শহরের ভেতর নদী বা নদীর দুই পাড়ে শহর থাকলে তার সেতু পারাপারে টোল প্রথা নেই। নগরায়নের স্বার্থেই তা রহিত করা হয়ে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সিটির বাকলিয়া ও কর্ণফুলী থানার মাঝখানে বহমান পাহাড়ি কন্যা কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শাহ আমানত সেতু পারাপারে প্রতিবারই দিতে হয় উচ্চ হারে টোল যা চাঁদাবাজির নামান্তর। ফলে নদীর দক্ষিণপাড়ে নগরায়ন স্থবির হয়ে পড়েছে। অথচ মহানগরীর তীব্র আবাসন সঙ্কট নিরসনে কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ই এখন একমাত্র ভরসা। কেননা পরিকল্পিতভাবে শহর বাড়ানোর জন্য অন্য দিকে তেমন জায়গা আর নেই। চট্টগ্রাম শহরের তীব্র আবাসন সঙ্কট নিরসনে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে দুই যুগেরও বহু আগে গড়ে তোলা হয় ৫১৯টি প্লট সংবলিত সিডিএ কর্ণফুলী আবাসন প্রকল্প। কিন্তু ওয়াসার সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যর্থতা ও কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু পারাপারে উচ্চহারে টোলের কারণে দক্ষিণ তীরে নগরায়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নগরায়ন ও আবাসন সঙ্কট নিরসনে দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দাদের জন্য টোল তুলে দিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement