তেঁতুলিয়ায় হাড় কাঁপানো শীত সূর্যের দেখা মেলেনি সারা দিন
- তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৪৩
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন থমকে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীত ঋতুর মাঘ মাসে সপ্তাহজুড়ে তীব্র শীত বিরাজ করছে। এর আগের সপ্তাহে পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে একাধিক মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এ বছর শীত ঋতুর পৌষ মাসে তেঁতুলিয়ায় তেমন শীতের প্রকোপ দেখা যায়নি। গতকাল সারা দিন তেঁতুলিয়ায় কুয়াশাযুক্ত মেঘলা আকাশে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর চার দিক ঘন কুয়াশায় পথঘাট ঢেকে যাচ্ছে এবং গভীর রাত থেকে দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো শীত পড়ছে। ঘন কুয়াশার চাদরে চার দিক ছিল ঢাকা। এ ছাড়া উত্তরের হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে খেটে খাওয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ও মহানন্দার পাথরের সাথে সম্পৃক্ত কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়নি। তীব্র শীতের কারণে ব্যাংক-বীমা ও অফিস-আদালতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। এ ছাড়া স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুব কম পরিলক্ষিত হয়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধরা সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়লেও এখনো সরকারিভাবে গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। ফলে শীত নিবারণে গরিব-দুঃখী মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে সর্দি-কাশি ও জ্বর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে বহিঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য আসছে। এ ছাড়া আন্তঃবিভাগে গড়ে মা ও শিশুসহ ১৮-২০ জন রোগী জ্বর-সর্দি ও নিউমোউনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। তবে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা