২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`
গণমাধ্যমকে ইসি সচিব

দলগুলোর এজেন্ট প্রশিক্ষণের চাহিদা পেয়েছে ইউএনডিপি

-


রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ পর্যায় থেকে এজেন্টদের প্রশিক্ষণের চাহিদা পেয়েছে জাতিসঙ্ঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। তার আলোকেই রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রশিক্ষণ না দিয়ে এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আগাম হিসাবটা খুব জরুরি। জানুয়ারির ১ তারিখে নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়।
সচিব আখতার আহমেদ বলেন, দলগুলোর সাথে প্রশিক্ষণ নয়। তবে ভোটকেন্দ্রে যিনি দলের প্রতিনিধি তার সাথে যদি আমরা একসাথে কাজ করতে পারি তবে তার বেটার রেজাল্ট পাবো। উনারা (ইউএনডিপি) মাঠ থেকে এমন চাহিদা পেয়েছেন। তবে প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, কারা দেবে এই প্রশ্নগুলো তো সামনে এসেছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কলেবরটা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ওরা (ইউএনডিপির প্রতিনিধি দল) নিউইয়র্কে যাচ্ছে। সেখানেই তারা রিপোর্টটি দেবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা আবারো আসবে বলে জানান তিনি।

সচিব বলেন, ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনে যতগুলো জিনিস আছে আমরা সবগুলো নিয়ে কাজ করছি। তারা বলেছে, তোমরা যা করার করছো, গ্যাপ যা থাকে আমরা পূরণের চেষ্টা করব। তিনি বলেন, তারা ১০ দিন পর এসে আজকে একটা ফিডব্যাক দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সাথে কথা বলেছেন। সরেজমিন দেখেছেন। এর ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের কিছু সহযোগিতা করবেন। কিছু লজিসটিকস যেটা ক্যামেরা, কম্পিউটার, হার্ডওয়্যার টাইপের; আরেকটা জিনিস হচ্ছে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই প্রশিক্ষণ অংশীজনদের নিয়ে। তিনি বলেন, আমরা যেমন বলেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সাথে জড়িতদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে, তেমনি প্রাসঙ্গিকভাবে যারা জড়িত তাদেরও প্রয়োজন আছে। যেমন সিভিল সোসাইটির যারা ভোটের সময় নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন, এদের জন্য প্রশিক্ষণ কেমন করে কতটুকু দেয়া যেতে পারে। উপকরণ কী হবে এগুলোর সাথে তারা আছে। নারী অংশগ্রহণের বিষয়ে তারা বলেছেন। আমরা বলেছি যে, এজন্য ঘরে ঘরে যেয়ে ভোটার করছি। এখন ভোটকেন্দ্রে তো তারাই যাবেন। এজন্য আমরা সব সময় উৎসাহ জানাচ্ছি, যাতে তারা অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা আরো কিভাবে বাড়ানো যায়, যাতে নির্বাচনী ফলাফল দ্রুত দেয়া যায়। সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ, যুব সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি, যে তাদের দায়িত্বটা কী। সীমানা পুনর্নির্ধারণে কতটা কী করা যেতে পারে। তা নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা বলেছি যে, কোনো কিছু বন্ধ রাখিনি। একটা সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার আমরা করছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement