২০ দিন পরে উৎপাদনে যাচ্ছে সিইউএফএল
- পটিয়া-চন্দনাই(চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৪২
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে আনোয়ারা উপজেলার রাঙাদিয়ায় স্থাপিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইউরিয়ার সার উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ২০ দিন পরে ফের উৎপাদনে ফিরেছে। গতকাল কারখানার রিয়েক্টর মেরামত শেষ হওয়ার পরে প্রায় ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস সরবরাহ নেয়া শুরু করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ, এর মধ্যদিয়ে মধ্যরাত থেকে কারখানাটিতে সার উৎপাদন শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান নয়া দিগন্তকে জানান, গ্যাস সরবরাহ নেয়া হচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সার উৎপাদনে যাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি। তিনি জানান, উৎপাদন শুরু হওয়ার সাথে সাথে গ্যাস সরবরাহ বাড়াবে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুটে।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সকাল থেকে কারখানার রিক্টের বিকল হওয়ার ফলে সার উৎপাদন বন্ধ হয় বলে জানা গেছে। একইভাবে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাসসঙ্কটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। একই বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানাটি ২৪৮ দিন উৎপাদন বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ওই দিন রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কারখানায় উৎপাদন শুরু হয় ।
সিইউএফএল সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন এ কারখানায় বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১১০০ শত মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়াও উৎপাদন হয়।
জানা গেছে, তৎকালীন সরকার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) স্থাপন করেন এবং ২৯ অক্টোবর ১৯৮৭ থেকে কারখানাটিতে সার উৎপাদন শুরু হয়। কারখানা স্থাপনে তৎকালীন সময়ে ব্যয় হয়েছিল ১৫৫৬.৩০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১১৫৯.৯১ কোটি টাকা। শুরুতে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ইউরিয়া এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ও অ্যামোনিয়া এক হাজার মেট্রিক টন। এতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রায় ৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হতো। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে ১১০০ থেকে ১২০০ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা