২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ মাঘ ১৪৩১, ২২ রজব ১৪৪৬
`

ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুরে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়

-

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় শিডিউলে বিপর্যয় ঘটেছে। মাঘ মাসের হাড়কাঁপানো শীতে লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও রংপুর জেলার জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে। শীতজনিত রোগের প্রকোপে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বেড়ে চলেছে রোগীর সংখ্যা।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, শীত মানেই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে কঠিন পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে যবুথবু চারপাশ। পৌষ মাস তেমন শীতের প্রকোপ না থাকলেও মাঘ শুরু হতেই দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। ঘন কুয়াশায় বিঘœ ঘটেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার শিডিউলে। গতকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অবতরণ বা উড্ডয়ন করেনি। ফলে ৪টি ফ্লাইটের শতাধিক ঢাকাগামী যাত্রী আটকা পড়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে আসা ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সের ১৮৩ নং ইউএস বাংলা একটি ফ্লাইট অবতরণ করে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে। বুধবার এই ফ্লাইটটিসহ ৪টি ফ্লাইট আসেনি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বিমান ওঠানামায় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কায় ফ্লাইটটি ঢাকা থেকেই উত্তলন করেনি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানিয়েছেন, রাত থেকেই সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলা তথা উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। এর ফলে দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০ মিটার আর সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল মাত্র ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আতাউর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০ মিটার। কিন্তু বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ মিটার। এ কারণে ফ্লাইট বিপর্যয় ঘটেছে। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো বিমান ওঠানামা করেনি। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট, ১২টায় এয়ার এস্ট্রার একটি, ১২টা ৩০ মিনিটের বাংলাদেশ বিমান এবং দুপুর ১টায় নভো-এয়ারের একটিসহ মোট ৪টি ফ্লাইট এখনো আসতে পারেনি। তবে এই ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়নি। বেলা বাড়ার সাথে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলে ফ্লাইটগুলো যথারীতি আসা-যাওয়া করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement