সাবেক মন্ত্রী তাজুল ও কর কর্মকর্তা ফয়সালের বিরুদ্ধে দুদকের পৃথক মামলা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৩
প্রায় ১৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৬৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো: তাজুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে পৃথক দু’টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অপর দিকে ১৭ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও তার স্ত্রীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে বলে জানান, মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন।
দুদক জানায়, প্রথম মামলায় কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তার নিজ নামের ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১১৭ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি হয়েছেন তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলাম। সহায়তায় আসামি স্বামী তাজুল ইসলামও। এ মামলায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জন ও নিজ নামের ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করাসহ তা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে কুমিল্লা-৯ আসনের এমপি নির্বাচিত হন তাজুল ইসলাম। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত বছরের আগস্ট মাসে তাজুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
অপর দিকে ১৭ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও স্ত্রীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।
আসামিরা হলেন- অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন, শ্যালক আফতাব আলী, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, শ্বশুর আহম্মেদ আলী, ফয়সালের ভাই কাজী খালিদ হাসান, মামা শ্বশুর শেখ নাসির উদ্দিন, খালা শাশুড়ি মাহমুদা হাসান, শ্যালিকা ফারহানা আফরোজ, খালা রওশন আরা খাতুন, ঘনিষ্ঠজন খন্দকার হাফিজুর রহমান, বোন ফারহানা আক্তার, মা কারিমা খাতুন ও ঘনিষ্ঠজন কাজী নূর ই আলম ছিদ্দিকী।
আসামিদের বিরুদ্ধে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখে এবং অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন ও ছদ্মাবৃত্ত করা তথা মানিলন্ডারিং করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা