বরিশালকে আটকাতে পারেনি টাইগার্সরা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০০
ফরচুন বরিশালের তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালানকে গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবারের বিপিএলে দ্বিতীয়বার তামিমের এমন কিছুর তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো। সব মিলিয়ে বিপিএলে অষ্টম। মুশফিকুর রহীম একটু পরই রান আউট। মাথায় বজ্রপাতের মতোই অবস্থা। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শুরুতে ১৬ রানে নেই ৩ উইকেট। শুরুর সেই বিপর্যয় সামলে মাহমুদুল্লাহ ও রিশাদে ভর করে বরিশালের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। জবাবে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করলে ৭ রানের জয় পায় ফরচুনরা। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই থাকল তামিমের দল। আর ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চমেই থাকল খুলনা টাইগার্স।
মিডল ও লেট অর্ডারের ব্যাটে খুলনার বিপক্ষে বরিশাল সম্মানজনক স্কোর তুলেছে। ওপেনিংয়ে তৌহিদ ৩০ বলে ৩৬ রানে ফেরার পর মিডল অর্ডারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আউট হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৫০ করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়। বিপিএলে এটি তার ১৪ তম হাফ সেঞ্চুরি। আর চলতি বিপিএলে দ্বিতীয়। যা তিনি করেছেন রাজশাহী (৫৬*) ও খুলনার বিপক্ষে (৫০)।
অষ্টম উইকেটে রিশাদকে নিয়ে ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ। শেষ ৪ ওভারে ৬১ রান পায় বরিশাল। যার পুরো কৃতিত্ব রিশাদ হোসেনের। ইনিংসের শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ৫ চার এক ছক্কায় ৩৯ রান করেন এই লেগি। ২০৫ স্ট্রাইক রেট। শেষ ওভারে তানভীর একটি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান করলে বরিশালের পুঁজি দাঁড়ায় ১৬৭। মিরাজ তিনটি ও সালমান দু’টি, জিয়াউর ও নাসুম একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই ইমরুল কায়েস ফিরেন খালি হাতে। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও মিরাজ মিলে দলকে ৬৫ রানে নিয়ে বিদায় নেন মিরাজ (২৯ বলে ৩ চার ২ ছ্কায় ৩৩ রান)। অ্যালেক্স রোজ ৪ রানই করতে পারেন। আফিফকে নিয়ে নাঈম দলীয় শতরান পার করেন ১৫.২ ওভারে। ৪৯ বলে ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেন নাঈম। জাহানদাদের বলে ১৭ বলে ২৭ করে ফিরেন আফিফ। দুই রানের আশায় রানআউট হন মাহিদুল (২)। জয়ের জন্য খুলনার দরকার দুই ওভারে দরকার ৩৫ রান। শেষ ওভারে দরকার ২৫ রান। দুই বলে দুই ছক্কা মেরে জয়ের আশা দেখিয়ে চতুর্থ বলে ৭৭ রানে বিদায় নেন ওপেনার নাঈম। ৫৯ বলে ৪ চারে ও ৬ ছক্কায় ওই রান করেন তিনি। পঞ্চম বলে চার মারেন আমের জামাল। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৬০ রানে থামে খুলনার ইনিংস। জাহানদাদ দু’টি, নবি, রিপন ও রিশাদ একটি করে উইকেট নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা