এক নজরে গাজা যুদ্ধবিরতি
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২১
* আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও চুক্তিতে ছয় সপ্তাহের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
* চুক্তিতে শর্তের মধ্যে রয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হবে এবং হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে।
* তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে। প্রথম ধাপে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। বিনিময়ে প্রত্যেক নারী সেনার বিপরীতে ৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। এ ছাড়া বাকি বেসামরিক জিম্মিদের প্রত্যেকের বিপরীতে ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।
* চুক্তির ১৬তম দিনে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। এ সময় গাজায় বন্দী বাকি পুরুষ জিম্মি ও সেনাদের মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
* চুক্তির তৃতীয় ধাপে দীর্ঘমেয়াদি বিষয়গুলো কিভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সমঝোতা হওয়ার কথা। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় বিকল্প সরকার গঠন এবং পুনর্গঠন পরিকল্পনা। এ কাজ মিসর, কাতার ও জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
* হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আক্রমণ করে, প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
* এই হামলার ফলে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরাইলি আক্রমণে ৪৬,৯০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক। ১০ সহ¯্রাধিক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। নিহতদের ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
* হামাস যে প্রথম তিন ইসরাইলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয় তারা হলেন ৩১ বছর বয়সী ডোরন স্টেইনব্রেচার, ২৮ বছরের এমিলি দামারি এবং ২৪ বছর বয়সী রোমি গোনেন।
* গাজায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের শহরগুলোতে ফিরে যেতে শুরু করেছে। দক্ষিণের খান ইউনিস থেকে উত্তরের গাজা শহরের দিকে রওনা হওয়া একজন ব্যক্তি বলেন, ‘আমি ফিরে যেতে চাই এবং গাজার মাটি চুম্বন করতে চাই।’
* যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, ইসরাইল গাজায় হামলা চালিয়ে যায়, আরো ১৯ জনকে হত্যা করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা