২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ মাঘ ১৪৩১, ১৯ রজব ১৪৪৬
`

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

-

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদনের (রিভিউ) ওপর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বিশিষ্টজনদের করা তিনটি আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বিএনপির পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
বিএনপির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের ওপর ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন।
গত ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানসংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন। এ ছাড়া ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আবেদনে ১০টি যুক্তি উত্থাপন করা হয়েছে। রিভিউ আবেদনে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল রায়ের মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ ধ্বংস করা হয়েছে। এই বিধান বাতিলের পর ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে নজিরবিহীন কারচুপির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ফলে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়ে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির কাঁধে ফ্যাসিবাদ জেঁকে বসে।
১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই সংশোধন করে তৎকালীন আওয়ামী সরকার। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংসদে বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। আদালতে ঘোষিত রায়ের সাথে প্রকাশিত রায় ভিন্ন ছিল, যা বিচার বিভাগীয় প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকও রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারা হলেন- সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। অপর দিকে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
স্থায়ী সমাধানের জন্য অতিদ্রুত নির্বাচন চান খন্দকার মোশাররফ কুড়িগ্রামে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সাংবাদিক ইয়াছীনের মায়ের কবর জিয়ারতে জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ বিজিবির জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস কেনা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রাম্পের নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি, দাম আকাশছোঁয়া উদ্বোধনী সমাবেশের আগের ভাষণে ‘আমেরিকার পতন’ থামানোর প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের ট্রাম্প ২.০ : বিশ্বে এর প্রভাব কেমন হতে পারে সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেফতার নাতির ছুরিকাঘাতে দাদার মৃত্যু চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, হাসপাতালে রোগীদের ভিড়

সকল