১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬
`

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেফতার ৩

-

 

সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো- মো: মাসুম (২৫), মো: শরীফ (২৩) ও মো: ইস্রাফিল (২২)। গত শুক্রবার যাত্রাবাড়ীর ফলবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ১৫ দিন আগে টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয় চক্রের হোতা গ্রেফতার মাসুমের। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। এরই সূত্র ধরে গত ১১ জানুয়ারি ভিকটিমকে কাজলারপাড় এলাকায় এক বাসায় ডেকে আনে মাসুম। সেই বাসায় জোরপূর্বক আটকে রেখে মাসুম প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তার দুই বন্ধু ইস্রাফিল ও শরীফও ধর্ষণ করে ও তা ভিডিও করে। এরপর ভিকটিমকে ধর্ষণের আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। তখন ভিকটিম কাছে থাকা সাড়ে ৯ হাজার টাকা তাদের দেন। এরপর তারা ভিকটিমকে একটি ভাড়া করা মোটরসাইকেলে তুলে দিয়ে তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা নিয়ে আসার কথা বলে অন্যথায় ধারণ করা ভিডিও পরিবারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি ইস্রাফিল ভিকটিমকে ফোন করে বলে, ১৭ জানুয়ারি মাসুম তার বন্ধুদের নিয়ে সাকরাইন অনুষ্ঠান করবে এবং সেখানে তাকে যেতে হবে। না গেলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে। ভিকটিম কৌশলে তাদের কথায় রাজি হয় এবং বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানায় জানান। ১৭ জানুয়ারি বিকেলে ভিকটিমের সাথে কৌশলে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ যাত্রাবাড়ীর ফলবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ভিকটিমের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে নেয়া ৮ হাজার ৬৫০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রাবাড়ী থানায় ধর্ষণসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিসি তালেবুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতরা সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্রের সদস্য। মাসুম এ পর্যন্ত ১৬টি ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। কোন ভুক্তভোগী এসব ঘটনায় অভিযোগ না করায় গ্রেফতারকৃতরা এতদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement