স্বৈরাচারী সরকারের সময় আর নেই যা খুশি তা করবেন : উপদেষ্টা এম শাখাওয়াত
- ভোলা প্রতিনিধি
- ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, লঞ্চঘাটগুলোতে যে অরাজকতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৫ টাকার টিকিট ১০ টাকা নেয়ার এখন আর সুযোগ নেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। কেননা এখন আর আগের সেই স্বৈরাচারী সরকারের সময় নেই। স্বৈরাচারী সরকারের সময় যা খুশি তা করেছে সেটা যেন আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবেন আশা করি তারা শিক্ষা নেবেন অতিত থেকে, যে কি করলে কি হয়। আমরা যত দিন আছি তত দিন আর অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।
গতকাল ভোলার দৌলতখানের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে ভোলায় আসেন তিনি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলার চার পাশেই নদী। এই দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এই ঘাটগুলোতে তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না অউন্নত থাকায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পুনর্নির্মিত হচ্ছে। ভোলার এই ঘাটগুলো যাত্রীছাউনিসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাসহ নির্মিতি হচ্ছে। যাতে ঝড় বাদলেও লঞ্চে যাত্রী পারাপারে দুর্ভোগ না হয়। এই ঘাটগুলো ভোলার সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এই ঘাটগুলো নির্মাণে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষদের একটু অসুবিধা হলেও উন্নয়নের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, নৌপথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে। এ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চল নৌপথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালুর কথাও জানান তিনি। এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো: আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা