হুইল চেয়ার ছাড়াই হাঁটছেন খালেদা জিয়া

লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন। হুইল চেয়ার ছাড়া ও কারো সাহায্য ছাড়াই তিনি কিছুটা হাঁটতে পারছেন। তবে তার লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেই সরাসরি লন্ডনে ছেলের বাসায় যাবেন তিনি। সেখানে তিনি আরো কিছু দিন থাকবেন।
এসব তথ্য জানিয়ে গতকাল খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, ম্যাডামের সব পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। এটা বাংলাদেশের মতো নয়। লন্ডন ক্লিনিকে সবকিছু নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। তাই সময় লাগছে। তবে যতগুলো রিপোর্ট এসেছে উদ্বেগের কিছু নেই। হাসপাতালের পরিবেশও ভালো। এতে ম্যাডাম ভালোবোধ করছেন। কারো সাহায্য ছাড়াই কিছুটা হাঁটতে পারছেন। ছেলে ও পুত্রবধূ নিয়মিত খাবার নিয়ে আসছেন বাসা থেকে।

ওই সদস্য বলেন, সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিবে মেডিক্যাল বোর্ড। ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলে ম্যাডাম সরাসরি ছেলের বাসায় যাবেন। তিনি ছেলের বাসায় যেতে ব্যাকুল হয়ে আছেন।
এদিকে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, খালেদা জিয়া মানসিক দিক দিয়ে, শারীরিক দিক দিয়ে আগের চাইতে অনেকটা বেটার আছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম আগের চেয়ে ভালো আছেন। রুটিন বিভিন্ন পরীক্ষাগুলো ডাক্তাররা করছেন। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তার রিপোর্টের ফলাফল দেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এখানে উনার চিকিৎসার ধরনে কিছুটা পরিবর্তনও আনা হয়েছে।
খালেদা জিয়া তার দুই ছেলের তিন মেয়ে (তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান) সার্বক্ষণিক নানীর সাথে সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান জাহিদ।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।