সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ
- বাসস
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৩
সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক ভুক্তভোগী নারী। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, আমি স্বামীর মৃত্যুর পর তার অর্থ ও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত একজন অসহায় নারী, পিতৃহারা সন্তানের অসহায় মা। স্বামী মৃত হাসান আহমেদ ছিলেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও পৈতৃক সূত্রে একজন জুটমিলস ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করতেন। একসময় পিপলস ইন্স্যুরেন্সেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছিলেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ২০২০ সালে ব্রেন স্টোকজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তার স্বামী। সেই সময়ে তার দেবর কবির আহমেদ ও মূসা এবং তাদের কর্মচারী বিদ্যুৎ ঘোষ বিভিন্ন অজুহাতে কোম্পানির বিভিন্ন ডকুমেন্টস সরাতে শুরু করেন। কোম্পানির চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয় তার স্বামীকে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। তখন লাশ দাফনে কোনোরূপ পদক্ষেপ না নিয়ে তিনিসহ তার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মা, বোন, ভগ্নিপতিসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির মৃত্যু, সন্তানেরা পিতৃহীন এ পরিস্থিতিতে এক কঠিন বাস্তবতা ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হন। এ মামলা পল্টন থানা পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে এ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে আদালত তা পুনরায় তদন্তে দায়িত্ব দেয় ডিবিকে। তখন ডিবি প্রধান হারুন আমাকে ডেকে নিয়ে ২ কোটি টাকা চান। অন্যথায় আমাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। টাকা দিতে না পারায় এবং প্রভাবিত হয়ে এ মামলায় চার্জশিট দেয় ডিবি। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছি। মামলাটি এখন চার্জ শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে। আমরা ডিসচার্জ আবেদন করছি। এর ওপর শুনানি হবে। আমরা ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা