রংপুরের সাতে সাত
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০১
এমন ম্যাচও হারতে হয়। খুলনা টাইগার্স ১০ মিনিট আগেও কি চিন্তা করেছিল। জয়ের নেশায় যখন বিভোর, প্রথমবারের মতো রংপুর রাইডার্সকে হারানোর বাস্তবতা চোখের সামনে। তখনই কি না ১৯ ও ২০তম ওভারে খুলনা টাইগার্সের পতন। রাইডার্সের আকিফ জাভেদের দুই উইকেট ও শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের তিন উইকেট প্রাপ্তি সব কিছু এলেমেলো করে দিলো।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুুলনার দরকার ১২ রানের। সাইফউদ্দিনের করা প্রথম ও দ্বিতীয় বলে রান হয়নি। পরের বল ওয়াইড। তৃতীয় বলে দুই রানের আশায় আউট নওয়াজ (৪)। চতুর্থ বলে নাসুম রান আউট (০)। পঞ্চম বলে ক্যাচ আউট আবু হায়দার রনি। শেষ বলে এক রান নেন সালমান ইরশাদ। বাস তাতেই সমাপ্তি খুলনার জয়ের আশা।
টানা ছয় ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে মাটিতে নামানোর সুবর্ণ সযোগ হারাল খুলনা টাইগার্স। ঢাকা পর্ব শেষে সিলেট পর্বেও অপ্রতিরোধ্য ছিল নুরুল হাসান সোহানের দল। চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে চায়ের দেশে শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৫ রান করে রংপুর রাইডার্স। জবাবে খেলতে নেমে ৩ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে মেহেদি হাসান মিরাজের খুলনা। তাতে ৮ রানের জয়ে টানা ৭ ম্যাচ জিতল রাইডার্সরা।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকেন মোহাম্মদ নাঈম ও বিদেশী রিক্রুট দারউইশ। দলীয় ৩১ রানে সাজঘরে ফিরেন দারউইশ (১৭)। অধিনায়ক মিরাজকে নিয়ে রংপুরের বোলারদের শক্ত হাতে দমন করেন নাঈম। দলীয় রান একশ’র আগে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে সাইফউদ্দিনের শিকার হন মিরাজ। এই ফাঁকে ৩৬ বলে সাত চার ও এক ছয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন নাইম। দলীয় ১৩৭ রানে শেখ মাহেদীর শিকার হন তিনি ব্যক্তিগত ৫৯ রানে। বল খেলেছেন ৪১টি। ১৭.১ ওভারে যখন ১১ বলে ১৮ রান দরকার তখন সাজঘরে ফিরেন ১৫ বলে ২৯ রান করা আফিফ। তাকেও ফেরান শেখ মাহেদী। ১০ বলে যখন ১৮ রান দরকার তখন মাহিদুলকে ১৫ রানে ফেরান আকিফ জাভেদ। ১৯তম ওভারটিই চিন্তার কারণ হয়ে যায় খুলনা দলের। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমরুল কায়েস ক্যাচ দেন ৫ রানে। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বিপিএল প্রথম ছয় ম্যাচে জয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা দল রংপুর রাইডার্স। দলীয় ১৯ রানে স্টিভেন টেইলরকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান আবু হায়দার রনি। ১১ রান যোগ করতেই এবার হাসান মাহমুদের আঘাত। ৭ রান করা সাইফ হাসানকেও সরাসরি বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তোলে রংপুর। তৌফিক খান ৩০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ করে আবু হায়দারের দ্বিতীয় শিকার। ২২ বলে ফিফটি করেন বাঁহাতি ব্যাটার খুশদিল। ইফতিখার ৩৬ বলে করেন ৪৩। ১ রানে রানআউট নুরুল হাসান। খুশদিল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন। দুই পাকিস্তানির ব্যাটে চড়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই গড়ে রংপুর রাইডার্স।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা