এক নারীর শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত সুস্থ আছেন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:১৪
বাংলাদেশে এক নারীর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত নারী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা: আহমেদ নওশের আলম গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শনিবার আমরা নতুন করে একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের রিপোর্টটি পেয়েছি। রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো। তিনি বলেন, ওই রোগী দেশেই আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ তার কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই এবং এটা খুবই স্বাভাবিক। হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে আতঙ্কেরও কিছু নেই।
এ ব্যাপারে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, চলতি বছরের এই ঘটনাটি ছাড়াও এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতি বছরই দুই-চারজন মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তিনি বলেন, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরো আগে থেকেই আমরা পেয়েছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা হতে পারে শত বছর আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। তবে কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়।
এইচএমপিভি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা যায়। সাথে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সাথে চামড়ায় র্যাশ বা দানা দানা দেখা দিতে পারে। তবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের জন্য এই ভাইরাসটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
মার্কন সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল বা সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেকোনো বয়েসী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো অসুখ হতে পারে। এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে। আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে তিন থেকে ছয় দিন সময় লাগে। আক্রান্ত হলে ঠিক কতদিন ভুগবেন একজন মানুষ তা নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতা ও আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা