১২০ মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৩৫
বিভিন্ন মাদরাসার ১২০ জন শিক্ষকের সনদ জালের প্রমাণ পেয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর। সনদ জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দারুল ইহসান, এনটিআরসিএ-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়া অন্তত ১২০ জনকে শনাক্ত করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে; কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তা করেননি। এবার এই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে অধিদফতর বলছে, দ্রুত ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্প্রতি অধিদফতর থেকে চিহ্নিত শিক্ষকের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ১২০ জন শিক্ষকের জাল সনদের প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের ইনডেস্ক কর্তন করে বেতন বন্ধ এবং বেতনভাতা হিসেবে নেয়া অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার নির্দেশ দেয়া হয় ওই সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। কিন্তু তারা এ কাজে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগেও একই অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি বিভিন্ন মাদরাসার জাল সনদধারী ২৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে তাদের এমপিওশিট থেকে ইনডেক্স কাটা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জাল সনদধারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা প্রকাশ করে মাদরাসা অধিদফর। চিঠিতে বলা হয়, জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা না করলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধানদের এমপিও স্থগিতসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৭ জানুয়ারি অধিদফতরের পরিচালক এইচ এম নুরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, এসব জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছে অধিদফতর। একই সাথে ইনডেক্স কর্তন করা এসব শিক্ষকের ইতঃপূর্বে নেয়া বেতনভাতার সব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিয়ে তার প্রমাণ পাঠানোর জন্য মাদরাসা প্রধানদের বলা হয়েছে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধানদের এমপিও স্থগিতসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের এক আদেশে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ-এর ভুয়া ও জাল সনদের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হওয়ায় সনদধারীদের বিরুদ্ধে এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের ইনডেক্স কর্তন করা হয়। আদেশে আরো বলা হয়, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ইনডেক্স কর্তন করা শিক্ষকদের উত্তোলিত বেতনভাতার সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে প্রমাণসহ অধিদফতরে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অধিদফতরের পক্ষ থেকে এসব জাল শিক্ষকের আবেদন পাঠানোর ব্যাপারে মাদরাসা প্রধানকে সতর্ক করা হয়। একই সাথে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে তাদের বেতনভাতার টাকা ফেরত দিতে যেকোনো ধরনের শৈথিল্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা