কিংসের কাছে হারল ক্যাপিটালস
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:১৮, আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:২০
শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে পারেনি সাব্বির রহমান। ঢাকা ক্যাপিটালসের চতুর্থ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে কিছুই করতে পারেননি। ৭ বলে ২ রান করেই আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বরুপে ফিরলেন ডানহাতি এই মারকুটে ব্যাটার। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৯টি ছক্কা হাঁকালেন। সাথে চারের মার ছিল তিনটি। ৬ ছক্কা ১ চারে সাব্বির ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন ২২ বলে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৩ বলে ৮২ রানে। পুরো ইনিংসে ছক্কার মার ছিল ৯টি আর চার হাঁকিয়েছেন ৩টি। বিপিএলে সাব্বিরের সবশেষ ফিফটি ছিল ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। মাঝে ৩১ ম্যাচে কোনো ফিফটির দেখা পাননি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগংয়ের বিপক্ষে তার এই বিধ্বংসী ইনিংসের ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে ঢাকা। সেই পুঁজিকে তুচ্ছ করে ১৯.৩ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় কিংসরা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে তারা। আর ঢাকা পঞ্চম হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে তলানীতে।
প্রথম ম্যাচে ৩১ রান করে ভালো মৌসুমের আভাস দিলেও পরের তিন ম্যাচে লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ০, ২ ও ৯ রান। তাই চিটাগং কিংসের বিপক্ষে তাকে বাদ দিয়ে একাদশ গড়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের খেঁাজে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে নামে ঢাকা। তিন দেশির সাথে বাদ পড়েন দুই বিদেশীও।
শুরুতে উইকেট হারানোর পর তানজীদ হাসান তামিম এক প্রান্তে আগলে রেখে খেলতে থাকেন। ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। সাব্বিরের সাথে ৩৫ বলে ৬৩ রানের জুটি ম্যাচের গতিপথ বাতলে দেয়। শেষ দিকে ফরমানুল্লাহর সাথে জুটিতে আসে ১৭ বলে ৩০ রান। ফরমানউল্লাহ ৯ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইংলিশ তারকা ব্যাটার জেসন রয় আউট হন মাত্র ১ রানে। মাঝে স্টিফেন এসকিনাজি ৫ ও শাহাদাত হোসেন আউট হন ৯ রানে। এদিন হাসেনি থিসারা পেরেরার ব্যাটও। তিনি আউট হন ১ রানে। চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। এ ছাড়া আলিম আল ইসলাম ও ওয়াসিম একটি করে উইকেট নেন।
তৃতীয় ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়ের জবাব দিতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে চিটাগং কিংস। পারভেজ হোসেন ইমন ও উসমান খান জুটি বিচ্ছিন্ন হন ৬.১ ওভারে দলীয় ৫৫ রানে। ইমন ১৬ বলে ৩ চারে সাজঘরে ফেরেন ১৭ রানে। গ্রাহাম ক্লার্ক নিয়ে দলকে শতরান পার করে হাফসেঞ্চুরি করে মোস্তাফিজের বলে নাজমুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উসমান খান। যাওয়ার আগে ৩৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় নামের পাশে রেখে যান ৫৫ রানের ইনিংস। ১৬.৪ ওভারে দলীয় ১৪৪ রানে গ্রাহাম ক্লার্ককে (৩২ বলে ৩৯) শিকার করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পরবর্তী দুই ব্যাটার শামীম হোসেন ও অধিনায়ক মিথুন মিলে অপরাজিত থেকে ৩ বল বাকি থাকতে দলকে জয়ী করেই মাঠ ছাড়েন। মিথুনের অবদান ২২ বলে সমান দু’টি চার ছক্কায় ৩৩ ও শামীম ১৪ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রান করেন। ঢাকার মোস্তাফিজ, ফরমানউল্লাহ ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা