৫৭ বল হাতে রেখেই জয় বরিশালের
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫১
রিশাদ হোসেন ও জাহানবাদের তোপে এক শ’র আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে সেটি হতে দেননি আরিফুল হক। তার পরও তার দলের সংগ্রহ যথেষ্ট হয়নি। দুই ওপেনারকে দ্রুত হারালেও কাইল মেয়ার্স ও তৌহিদ হৃদয়ের জুটিতে সহজেই জিতেছে বরিশাল। সিলেটে স্ট্রাইকার্সকে ৫৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে স্রেফ ১০ ওভার ৩ বলেই জয় পায় বরিশাল। চার ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার ২ নম্বরে উঠে এসেছে তামিম ইকবালের দল। টানা তিন হারে তলানিতে চলে গেছে সিলেট।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই রনি তালুকদার আউট হন। এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো নামা রাকিম কর্নওয়েল ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও শেষ করতে পারেননি। ১২ বলে ৪ চারে ১৮ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর জাকির হাসানের সঙ্গে জর্জ মানসির জুটিতে ভালো কিছুর আশা দেখতে থাকে সিলেট। নিজের প্রথম দুই ওভারে একটি উইকেট পেলেও শাহিন দেন ৩৩ রান। এই রানগুলো আসে জাকির-মানসি জুটিতে। যদিও তাদের এই জুটি ভেঙে যায় কিছুক্ষণ পরই। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন মানসি। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং।
পরের ১৩ রানে ছয় উইকেট হারায় তারা। শেষ দিকে অবশ্য তারা ১০০ পার করে আরিফুল ইসলামের ব্যাটে। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৩৬ রান যোগ করেন তিনি। ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ স্রেফ ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। তিন উইকেট পান জাহানবাদ খান।
অল্প রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ফরচুন বরিশাল। রাকিম কর্নওয়েলের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল। পরের ওভারে ৩ বলে ৪ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তও একইভাবে আউট হন তানজিম হাসান সাকিবের বলে। এ ম্যাচে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন শান্ত।
দু’জনকে হারানোর পর অবশ্য আর বিপদে পড়তে হয়নি বরিশালকে। কাইল মায়ার্সের সঙ্গে জুটি গড়ে জয়ের মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে বোল্ড হন হৃদয়। তার সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি ছিল মায়ার্সের। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৫৯ রান করেন মেয়ার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১৮.২ ওভারে ১২৫ (কর্নওয়াল ১৮, জাকির ২৫, মানজি ১৮, আরিফুল ৩৬, টপলি ৫*, মায়ার্স ১/৬, আফ্রিদি ১/৪০, ফাহিম ২/২৩, জাহানদাদ ৩/১৮, রিশাদ ৩/১৫)।
ফরচুন বরিশাল : ১০.৩ ওভারে ১২৬/৩ (তামিম ০, শান্ত ৪, মেয়ার্স ৫৯*, হৃদয় ৪৮, জাহানদাদ ৪*, মুশফিক ৩৪*; কর্নওয়াল ১/১৬, তানজিম ২/৩৭)।
ফল : ফরচুন বরিশাল ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : জাহানদাদ খান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা