০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ শিক্ষার্থীকে সেমিস্টার ড্রপ

১৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত
-

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ শিক্ষার্থীকে ১ ও ২ সেমিস্টার করে বহিষ্কার এবং ১৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদের সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ ছাড়াও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ কোনো নির্বাচন না করারও সিদ্ধান্ত হয়। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
গতকাল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ১১ জন স্বশরীরে এবং একজন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ওই সময় ছাত্র আন্দোলনে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. শওকাত আলী গত বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে যোগ দিয়েই ১০৭তম সিন্ডিকেট সভায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁজে বের করতে তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেন। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ২৮ অক্টোবর ১০৮তম সভায় ৭১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। কী ধরনের শাস্তি হবে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ১০৯তম সিন্ডিকেট সভা বসে প্রশাসনিক ভবনে।

সভা শেষে গতকাল বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে ভিসি ড. শওকাত আলী জানান, ১০৮তম সভায় ৭২ জন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে একজন আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টার ড্রপ ও ২৩ জনকে এক সেমিস্টার করে ড্রপ এবং ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। তাদের বেশির ভাগই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
ভিসি আরো জানান, সভায় আবু সাঈদ হত্যা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার হওয়া গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ, কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারের সহকারী রেজিস্ট্রার হাফিজুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মাহবুবা আক্তার, প্রক্টর অফিসের রাফিউল হাসান রাসেল, নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম জনি, কর্মচারী আমির হোসেন, আশিকুন্নাহার টুকটুকি ও নুরনবীকে ১০৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা জবাব না দেয়ায় আগামী সিন্ডিকেটে তাদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেট সভায় ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভিসিকে সমর্থন দিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্যরা। এ ছাড়াও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। নেয়া হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ তৈরির কমিটি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন লাল কার্ডে মাঠের বাইরে ভিনিসিয়াস ৭ বছর পর লন্ডনে মা ও মাতৃস্নেহ বঞ্চিত ছেলের সাক্ষাৎ রাশিয়ার সু-৩৪ সুপারসনিক বোমারু বিমানের ইউক্রেনের শক্তিশালী অবস্থান কুরস্ক সীমান্তে হামলা মাদুরোর শপথ গ্রহণের প্রাক্কালে বিক্ষোভ ও সমাবেশের প্রস্তুতি বেনজীরের স্ত্রী-মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলি বন্দীদের পরিবারগুলোর মামলা ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব নিয়ে স্বৈরাচারের দোসরদের অপপ্রচারের প্রতিবাদ গ্রামীণ ব্যাংকে কমতে পারে সরকারি মালিকানার অংশীদারিত্ব একেনেকে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন থিকসানার হ্যাটট্রিকেও জিততে পারল না শ্রীলঙ্কা

সকল